গত তিন দিনে দুইটি রাসেল ভাইপার সাপ ধরা পড়ায় ভোলায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতের পর প্রকাশ্যে দেখা মিলছে এই রাসেল ভাইপারের। এর আগেও কয়েকটি রাসেল ভাইপার বসতঘরে বাসা বাঁধলে আতঙ্কিত মানুষ পিটিয়ে মেরেছে। বিষধর এই সাপ সম্পর্কে গ্রামগঞ্জের মানুষের মধ্যে সঠিক ধারণা বা পরিচিতি একেবারেই নেই বললেই চলে। এই বিষয়ে প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকেও নেয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। 

ইতঃপূর্বে ভোলায় দু-একটি ধরা পড়লেও তা অবমুক্ত করা হয়েছিল। সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিষধর রাসেল ভাইপার ধরা পড়ার খবর মিলছে।

রবিবার (১৬ জুন) ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দাবাদ এলাকার হেমায়েত মাওলানা বাড়ির সাখাওয়াত হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাথরুমে সাপটির দেখা মেলে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও আতঙ্কিত হয়ে সাপটিকে তাৎক্ষণিক পিটিয়ে মেরে ফেলেন লোকজন।

আরো পড়ুন: যে ২৮ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ঙ্কর রাসেল’স ভাইপার

মঙ্গলবার (১৮ জুন) এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভোলা সদরের পূর্ব ইলিশায় এক বসত বাড়ির পাশের রাস্তায় দেখা মেলে বিষধর এ সাপটিকে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় সাপটি।

তথ্য অনুযায়ী উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতেই এ সাপের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল। এ প্রজাতির সাপের সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ছিল রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। তবে বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় এ প্রজাতির সাপের উপস্থিতি বেড়ে গেছে। উত্তরবঙ্গে রাসেল ভাইপার সাপ চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামে পরিচিত।

সাপটির গাঁয়ের রং এবং চিত্রাকৃতির হওয়ায় ভোলার বেশিরভাগ মানুষ এটিকে নদীতে বাস করা অথবা অজগরের ছদ্মনাম বলেই জানে। বাংলাদেশে যে সব সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ।

আফ্রিকা উপমহাদেশ থেকে আসা এ বিষধর সাপের উপদ্রব এখনই কমানো না গেলে পরে আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতনমহল।