×

সারাদেশ

টাকার বিনিময়েও মেলেনি গর্ভবতী কার্ড, মেম্বারের-ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ

Icon

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম

টাকার বিনিময়েও মেলেনি গর্ভবতী কার্ড, মেম্বারের-ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ

বলধারা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সেলিম মোল্লা ও মেম্বার আমজাদ। ছবি: ভোরের কাগজ

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে টাকার বিনিময়ে দীর্ঘ এক বছরেও মেলেনি গর্ভবতী মায়ের ভাতার কার্ড। এছাড়া এ কার্ড প্রদানে আরো অতিরিক্ত অর্থ দাবীর অভিযোগও পাওয়া গেছে ইউপি সচিব ও মেম্বারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হচ্ছেন, উপজেলার বলধারা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সেলিম মোল্লা ও ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার আজাদ।

মঙ্গলবার (২১ মে) ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ইউনিয়নের আটকুড়িয়া গ্রামের সুজন টিকাদার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ বছর আগে আটকুড়িয়া গ্রামের অন্তস্বত্ত্বা ঝুমা সরকার (২২) মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আবেদন করেন। এ ঘটনায় তার দেবর সুজন টিকাদারকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আজাদ মেম্বার ৩ হাজার টাকা ও পরবর্তীতে ইউপি সচিব সেলিম মোল্লা ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। সবশেষ মঙ্গলবার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ইউপি সচিরে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কার্ড পেতে আরো ৭-৮ মাস সময় লাগবে বলে জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে অভিযোগকারী সুজন টিকাদার বলেন, সচিব সেলিম মোল্লা ও আজাদ মেম্বার আমার গর্ভবতী ভাবীর কার্ড প্রদান না করে ৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পড়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবী করেন তিনি।

ইউপি সচিব সেলিম মোল্লা বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে তার মাতৃত্বকালীন কার্ড চূড়ান্ত হয়েছে। কার্ড দেয়ার নামে কোনো টাকা পয়সা নেয়া হয়নি।

আজাদ মেম্বার বলেন, গর্ভবতীর কার্ডের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, অভিযোগের কপি আমার কাছে এখনো আসেনি। গর্ভকালীন ভাতার কার্ড দেয়ার নামে টাকা নেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App