×

সারাদেশ

মহিমাগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের পাঁয়তারা

Icon

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম

মহিমাগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের পাঁয়তারা

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ে (ডিগ্রি) অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের পাঁয়তারা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ওই কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক ফয়জুল গোফফার  মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম চলতি বছর ২৯ ফেব্রুয়ারি  অবসরে যান। এরপর ওই কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. সুজাউল হক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নিজেই কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের জন্য গোপনে কাগজপত্র তৈরি করছেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তার মনগড়া নিয়োগ কমিটি ও যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করেন এবং পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের(স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এমপিও নীতিমালা-২০২১ স্নাতক (ডিগ্রি) কলেজের অধ্যক্ষ পদের জন্য যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নির্দিষ্ট আছে। নীতিমালায় ডিগ্রি মহা বিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ পদের জন্য এমপিও ভুক্ত ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অথবা এমপিওভুক্ত ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ/ উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের অধ্যক্ষ পদে ৩ বছরের অভিজ্ঞতাসহ ১৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

কিন্তু মহিমাগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সুজাউল হক একজন সহকারী অধ্যাপক মাত্র। নীতিমালা অনুযায়ী অধ্যক্ষ পদের জন্য তার সেই অভিজ্ঞতা নেই। অথচ তিনি কৌশলে নিজেই অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগের জন্য পাঁয়তারা করছেন। অভিযোগকারী প্রভাষক ফয়জুল গোফফার বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এমপিও নীতিমালা-২০২১ বহির্ভূতভাবে যাতে মহিমাগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ নিয়োগ না দেওয়া হয় সেজন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে কাজ না হলে পরবর্তীতে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে। এসব বিষয়ে জানতে মহাবিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সুজাউল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেন নি।

উল্লেখ্য, গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জ মহাবিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে প্রায় তিন একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এই কলেজে বর্তমানে শিক্ষক ৩২ জন, প্রদর্শক ৩ জন এবং কর্মচারী ১৯ রয়েছে। কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ছয় শত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App