নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্রের বাইরে অন্তত ১১টি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে৷ এসময় কেন্দ্রটির আশপাশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জটলা ছিল, পরে তাদের সরিয়ে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বন্দর ইউনিয়নের কুশিয়ারায় হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত কিছুক্ষণ পর পর এ বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

বিস্ফোরণের পর কেন্দ্রটিতে ভোটার উপস্থিতি কমে যায়। যদিও কেন্দ্রটির আশপাশে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিতে দেখা গেছে। খবর পেয়ে কেন্দ্রটি অবস্থান নেন রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ। এ ঘটনায় কেন্দ্রটি ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও ব়্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করেন তিনি।

চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুলের অভিযোগ, দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদের অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকরা ‘হাতবোমার’ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

আতাউর রহমান মুকুল আরো বলেন, এ কেন্দ্রের ভোটার আমি, কাছেই আমার বাড়ি। সকালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিয়েছি। এ এলাকায় আমার জনপ্রিয়তা আছে, ভোটব্যাংকও বেশি, এ কারণে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভীত হয়ে ভোটারদের মধ্যে ভীতি তৈরি করতে ছাত্রলীগের লোকজনকে দিয়ে কিছুক্ষণ পর পর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসিকিউশন) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন, এটা ককটেল কিনা নিশ্চিত নই। কেউ কেউ বলছেন, পটকা বা হাতে তৈরি চকলেট বোমার শব্দ।একেকজন একেক কথা বলছে। তবে, আমরা কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেয়া লোকজনকে অনুরোধ করার পর তারা সেখান থেকে চলে গেছেন।