লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীব হত্যায় জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগ ও সজীবের পরিবার।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নিহত ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীবের মা বুলি বেগম, বোন সাহিদা আক্তার শিল্পী।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন- চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম. ছাবির আহম্মেদ, থানা কৃষকলীগের সভাপতি জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিঠন, সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলায়মান, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াজ হোসেন জয়, থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন, ১ম যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিংকু, থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি সদস্য শাহপরান শাকিলসহ সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সজীবের মা বুলি বেগম বলেন, “আমার নিরাপরাধ সন্তানকে যারা খুন করছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। নিহত সজীবের মা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন- মামলার প্রধান আসামী চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী বাবলুকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এতে নিজেদের নিরাপত্তাসহ ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কিত তিনি। এসময় খুনি কাজী বাবলুর ফাঁসি দাবি করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সজীবের মা বুলি বেগম। 

আরো পড়ুন: বেকার হওয়ায় ছেলেকে বিয়ে না দেয়ায় মাকে জবাই করে হত্যা!

থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. মাসুদুর রহমান বলেন, সজীব হত্যার সঙ্গে জড়িত সবাইকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং মূল আসামী ডাকাত বাবলুকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির আওতায় আনতে হবে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছাবির আহম্মেদ বলেন, “দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর থেকে থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের বিতর্কিত আহ্বায়ক ডাকাত বাবলু চন্দ্রগঞ্জ বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি করে, সরকারী জায়গা দখল ও বিক্রি করে ব্যাপক বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। সজীব বাঁধা দেয়ার কারণে তাকে রাতের আধারে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। আমি এই ডাকাত বাবলুকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।”

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১ টা ৩০ মিনিটের সময় পাঁচপাড়া গ্রামে একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে আসার সময় জৈদেরপুকুর পাড়ে ওঁৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা এম. সজীবসহ মোট ৬ জনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ৪জন গুরুতর আহত হলে তাদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । 

আহতরা হলেন- এম. সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, সাইফুল ইসলাম জয় ও রাফি। 

সজীবসহ ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে সজীবকে একটি বেসরকারী হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজীব মারা যায়।

এ ঘটনায় সজীবের মা বুলি বেগম বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশীদ বাবলু ১ নম্বর এবং সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ভূুইয়াকে ২নম্বর আসামি করে মোট ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এখন পর্যন্ত পুলিশ ২নম্বর আসামি তাজু ভুইয়াসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।