×

সারাদেশ

ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম করে বরখাস্ত হলেন প্রভাষক

Icon

তৈয়বুর রহমান, কুড়িগ্রাম থেকে

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম

ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম করে বরখাস্ত হলেন প্রভাষক

ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী ডিগ্রী কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম করার অভিযোগে ওই কলেজের এক প্রভাষকসহ চতুর্থশ্রেণীর এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনৈতিক এ ঘটনা তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের তদন্ত গঠন করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত তদন্ত টিমকে অভিযুক্ত প্রভাষক, চতুর্থশ্রেণীর কর্মচারী ও ছাত্রীর অভিভাবকের জবানবন্ধি রের্কড করে ১৪ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের বরাবর দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রীদের অভিভাবক মহলে তীব্র সন্তোষ বিরাজ করছে। 

জানা গেছে, ফুলবাড়ী ডিগ্রী কলেজের ইংরেজী প্রভাষক খাইরুল বাশারের সঙ্গে ওই কলেজের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মানবিক বিভাগের এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্ত প্রভাষক ফুসলিয়ে ওই পরীক্ষার্থীকে নিয়ে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। 

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) অভিযুক্ত প্রভাষক ছাত্রীটিকে নিয়ে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা গ্রামের বাসিন্দা ওই কলেজের চতুর্থশ্রেণীর কর্মচারী জিয়া হায়দার জুলিয়াসের বাড়ীতে যান। শিক্ষক ও ছাত্রীর উপস্থিতি দেখে গ্রামের কতিপয় লোকের সন্দেহ হলে তারা মেয়ের অভিভাবককে খবর দেন। এরপর মেয়েটির স্বজনরা দ্রুত ওই বাড়ীতে এসে হামলা করে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। 

আরো পড়ুন: শিবগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন

এসময় অভিযুক্ত প্রভাষক খাইরুল বাশার কৌশলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য নিয়ে এসেছে বলে জানায়। কিন্তু বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ওই প্রভাষকে বেধরক মারপিট করে মেয়েকে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।

অভিযুক্ত প্রভাষক খাইরুল বাশারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে চতুর্থশ্রেণী কর্মচারী জিয়া হায়দার জুলিয়াস জানান আমার বাড়ীতে দাওয়াত খাওয়ার জন্য এসেছিল তারা দুইজন। এর মধ্যে বিশৃঙ্লা সৃষ্টি হয়। স্যারকে মারপিট করে মেয়েকে নিয়ে যায় তার অভিভাবকরা। 

ঘটনা তদন্তে গঠিত টিমের আহবায়ক ও ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ জানান, তদন্ত করার জন্য লিখিত চিঠি এখনো পাইনি। তবে চিঠি হাতে আসলে সব সদস্যকে নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করা হবে। 

ফুলবাড়ী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম রিজু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিভাবকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত প্রভাষক ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্তের ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। 

কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান মাস্টার জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। এর মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App