×

সারাদেশ

জুড়ীতে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে নেই ঈদ আনন্দ

Icon

সাইফুল ইসলাম সুমন, জুড়ী থেকে

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম

জুড়ীতে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে নেই ঈদ আনন্দ

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নে কালবৈশাখীর ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়া ঘরবাড়ি

সবাই যখন ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ব্যস্ত ঠিক তখনই উল্টো চিত্র মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নে। কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হওয়া এই ইউনিয়নের ২৮ টি পরিবারে নেই ঈদ আনন্দ। 

ঈদ তো দূরের কথা প্রতিদিনের খাবারই জুটছে না এসব পরিবারের। ঝড়ে ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে খোলা আকাশের নিচে থাকা এসব পরিবারের কোনো সদস্যের ভাগ্যে জোটেনি ঈদের নতুন কাপড়। ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব এসব পরিবারের চোখে মুখে এখন শুধু হতাশার ছাপ। 

গত ৭ এপ্রিল কালবৈশাখীর ঝড় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায়। কালবৈশাখী ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়ন কোনাগাঁওসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এছাড়া ১৭/১৮ টি পরিবার পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ৪/৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো মেলেনি সরকারি কোনো সহায়তা। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করা এসব পরিবারগুলোকে দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

আরো পড়ুন: রামগড়ে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাইং উৎসব পালিত

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমতিয়াজ গফুর মারুফ বলেন, ফুলতলা ইউনিয়নের কোনাগাও গ্রামে এবার ঈদের আনন্দ নেই। কালবৈশাখীর ঝড়ে ২৮ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৭/১৮ পরিবার এখনো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।

ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম সেলু বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের তান্ডবে আমার ফুলতলা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আনুমানিক ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অতি দ্রুত পুনর্বাসনে সরকারি সহায়তা কামনা করছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App