×

সারাদেশ

ফেসবুকে প্রেমের টানে ভারতীয় যুবক ঝালকাঠিতে

Icon

ঝালকাঠি সদর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩১ পিএম

ফেসবুকে প্রেমের টানে ভারতীয় যুবক ঝালকাঠিতে

ছবি: ভোরের কাগজ

ফেসবুকে প্রেমের টানে ভারতীয় ইমরান (৩৪) নামে এক যুবক বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠিতে প্রেমিকার বাড়ি ছুটে এসেছেন। 

শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের মহিষকান্দী এলাকার ইমাদুল হাওলাদারে বাড়িতে আসেন তিনি। ইমরান ভারতের উত্তর প্রদেশ কানপুর এলাকার ছেলে। তাকে একনজর দেখতে বিকেল থেকেই ওই বাড়িতে ভিড় জমায় স্থানীয় লোকজন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইমরানের সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ইমাদুল হাওলাদারের মেয়ে ফারজানার সাথে এরপর দুই বছর আগে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে ইমরান বিভিন্ন সময় ফারজানার কাছে টাকা পাঠাতো এবং কুরিয়ার মাধ্যমে পোশাক পাঠাতো। সেই সুবাদে প্রেমিকা ফারজানার বাড়িতে ভারত থেকে ছুটে আসেন ইমরান। ইমরানের আসার খবর শুনে ফারজানা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ফারজানার পরিবার ইমরান বাড়িতে আসায় তার সঙ্গে অসদাচরণ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।  ইমরান কোনো উপায় না পেয়ে পরে ফিরে যান।

ফারাজানার বাবা ইমদাদুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার শ্যালিকা সৌদি আরবে থাকতে তখন সেখানে তার মাধ্যমে আমাদের সাথে পরিচয় হয়। এরপর আমাদের একটা ভিসা দেওয়ার কথা বলেছিলো। আমি তার হিন্দি ভাষা বুঝতে না পারার কারণে আমার মেয়ের সাথে তার কথা হতো। আমার মেয়ের সাথে কোন প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। এটা ও মিথ্যা কথা বানিয়ে বলছে।

ফারাজানার খালা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যখন সৌদিতে থাকতাম তখন আমরা একই মালিকের কাজ করতাম। একদিন আমার মোবাইল নষ্ট হয়ে গেছে এরপর আমি তাকে মোবাইল সারাতে দিছিলাম। কারণ আমি মোবাইলের তেমন কিছু বুঝি না। এরপর তিনি কি কি করছেন জানি না। আমার মোবাইল থেকে আমার ভাগ্নির ছবি নিছে। আমি সৌদি থেকে বাংলাদেশ আসার সময় আমি একটা নাম্বার দিছিলাম। তারপর তিনি ১মাস পরে কল দিছিলো। এরপর আমি বলছি আপনার ইমু নাম্বার দেন ইমুতে কথা হবে আমি নাম্বারে এতো টাকা দিয়ে কথা বলতে পারবো না। তিনি বলেন আমি এই মালিকের চাকরি করবো না ছেড়ে দিবো। তখন আমি তাকে বলি আমার যে পাওনা ১ লাখ টাকা ওটার বদলে আমাকে একটা ভিসা দেন আমার একটা ভাই আছে ওর পাঠাবো।

ভারতীয় যুবক ইমরান বলেন, ফারাজানার ছোট খালা এবং আমি সৌদিতে এক মালিকের চাকুরি করেছি। সেই সুবাদে ফারাজানার সঙ্গে ফেইসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক শুরু হয়। আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ফারাজানার পরিবারের সবাই জানতে। তারা আমার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারপর পাসপোর্ট ও ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশে আসি। এখানে আসার পর এখন তারা অস্বীকার করছে। আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এখন বাধ্য হয়ে আবার দেশে ফিরে যাচ্ছি।

কাঁঠালিয়া উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ বলেন, আমি শুনেছি ফেইসবুকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ভারত থেকে মহিষকান্দী এলাকার ইমাদুল হাওলাদারের বাড়িতে একজন যুবক এসেছেন। আমার যদি কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তাহলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App