×

সারাদেশ

আশুগঞ্জে মসজিদে মাসআলা নিয়ে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৫

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৮ পিএম

আশুগঞ্জে মসজিদে মাসআলা নিয়ে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৫

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মসজিদের ভেতরে নামাজের মাসআলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভেঙে ফেলা হয়েছে মসজিদের দরজা-জানালাও।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরচারতলা মোল্লাবাড়ি ও কিছকি বাড়ি গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে ইমামতি করেন মোল্লাবাড়ির নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা। শুক্রবার এশা ও তারাবিহ নামাজ শেষে ইমামের অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু মাসআলা নিয়ে মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কিছকি বাড়ির নেতা ঠিকাদার শফিকুর রহমান। এ নিয়ে মুসল্লিদের দুপক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে নামাজ শেষে মসজিদের বাইরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। হামলা চালানো হয় মসজিদেও। ভেঙে ফেলা হয়েছে মসজিদের দরজা-জানালা।

এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘তারাবিহ নামাজ শেষে কিছকি বাড়ির নেতা ঠিকাদার শফিকুর রহমান দুই মিনিট কথা বলতে আমার অনুমতি চাইলে আমি তাকে অনুমতি দেই। তিনি তার বক্তৃতায় এ মসজিদের কোনো মুসল্লিরই নামাজ হয় না বলে ফতুয়া দিলে উপস্থিত মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ করেন। এতে শফিকুল ইসলামের বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদসহ আমাদের বাড়ির লোকজনের ওপর হামলা করেন। এ সময় আমাদের বাড়ির পাঁচজন গুরুতর আহত হন।’

মসজিদের মুসল্লি ঠিকাদার শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি তারাবিহ নামাজ শেষে নিয়ম অনুযায়ী অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু জরুরি মাসআলার বিষয়ে ইমাম ও মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। নামাজের প্রয়োজনীয় তাসবিহ পাঠের জন্য রুকু, সেজদা ও দাঁড়ানোতে পর্যাপ্ত সময় দান ও কাতার সোজা করা করার গুরুত্ব বিষয়ে খেয়াল দিতে ইমামকে অনুরোধ করি। এতে ইমাম ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের ভেতরেই আমাকে নাজেহাল করেন। পরে তারা আমার ও আমার এক ভাইয়ের বিল্ডিংয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। আমার ব্যবহারের গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ সময় আমদের বাড়ির আটজন গুরুতর আহত হন।’

স্থানীয়দের ভাষ্য, চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা স্থানীয় একটি আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ। মাদরাসাটির নামকরণ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মসজিদে মাসআলা সংক্রান্ত বিষয়টি একটি অজুহাতমাত্র।

আশুগঞ্জ থানার ওসি নাহিদ আহম্মেদ জানান, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ প্রায় ৩৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় অফিসারসহ তিন পুলিশ আহত হন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App