×

সারাদেশ

তিস্তায় ৭৫ কোটির ভুট্টা!!

Icon

ডিমলা, নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম

তিস্তায় ৭৫ কোটির ভুট্টা!!

ভূট্টার ক্ষেত

বছরের পর বছর ধরে তিস্তা ছিলো ধু ধু বালুচর। রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও নীলফামারী জেলায় ১১৫ কিলোমিটার তিস্তা নদী বর্তমান প্রায় পানি শূন্য। বর্ষার পর এখন এসব জমিতে ফলছে নানান রকমের ফসল।  

ডিমলা কৃষি অফিসের তথ্য মত, সম্প্রসারণ ডিমলা উপজেলায় আবাদযোগ্য জমির মোট পরিমাণ ২৭ হাজার ৩৫৫ হেক্টর। এ বছর শুধু ডিমলার তিস্তার চরে ভুট্টার চাষ হয়েছে ২ হাজার ৫ শত ৪০ হেক্টর, গম ১২৫ হেক্টর, আলু ২৪৫ হেক্টর, মরিচ ৪২ হেক্টর, চিনাবাদাম ১২ হেক্টর ও বোরো ধান ১৪০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি চাষ হচ্ছে মিস্টি কুমড়া, রসুন, পেয়াজসহ রকমারি ফসল। 

চরের কৃষকেরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিঘা প্রতি ৩৫ থেকে ৪৫ মন পর্যন্ত ভুট্টা পাওয়া সম্ভব। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। ভুট্টা চাষে বিঘা প্রতি ব্যয় হয় ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা। 

আরো পড়ুন: মধ্যনগরের টাঙ্গুয়ার হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু

চর কিসামতের কৃষকেরা বলছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা তত একটা ভালো না হওয়ায় বিশাল চর ও নদী পাড়ি দিয়ে পণ্য নিয়ে যেতে হয় আমাদের, এজন্যই পণ্যের সঠিক মূল্য থেকে আমরা বঞ্চিত।

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ বছর কৃষি অফিসের সহযোগীতা ও কৃষি প্রনোদনার আওতায় তিস্তার চরে ১ হাজার ১ শত ৩৩ জন কৃষককে বীজ ও সার বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে।

টেপা খড়িবাড়ির কৃষক রফিক বলেন, এবারের শেষ বন্যায় ঘোলা পানির সঙ্গে মাটি আসায় বালুতে পলিমাটি পড়েছে, ফলে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাই এই বালুচরে ভালো আবাদ হচ্ছে। বন্যার ক্ষতি এবার পুষিয়ে নিতে চেস্টা করছি। তবে সেচের পানি পেতে হচ্ছে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে এতে আমাদের উৎপাদন খরচ বেশি হচ্ছে।

ডিমলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী বলেন, বর্ষার শেষ মৌসুমের বন্যায় নদীর চরগুলোতে বেশি পলিমাটি পড়েছে। এতে স্থানীয় কৃষকেরা সবাই চাষাবাদ করছেন। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চরে উৎপাদিত ভুট্টার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭৫ কোটি টাকা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App