×

সারাদেশ

পুলিশের হাতে ভোরের কাগজের প্রতিনিধি লাঞ্ছিত, প্রতিবাদে মানববন্ধন

Icon

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি শহর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম

পুলিশের হাতে ভোরের কাগজের প্রতিনিধি লাঞ্ছিত, প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি: ভোরের কাগজ

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় স্ত্রী-সন্তানের সামনে দৈনিক ভোরের কাগজের রাজাপুর প্রতিনিধি ও ইউপি সদস্য মাঈনুল ইসলাম টুটুলকে গায়ে হাত তুলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এএসআই এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজাপুর উপজেলার সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ। 

রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন মাতুব্বর ও ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তরা অভিযোগ করেন, শনিবার দুপুরে গালুয়া বাজারে গাড়ি পার্কিং নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ মাইনুল ইসলাম টুটুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুইপক্ষকে শান্ত করার চেষ্ট করেন। কিন্তু এ সময় রাজাপুর থানার এএসআই মো. মাহবুব হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি এক পক্ষের পক্ষ নিয়ে পরিবেশ অশান্ত করে। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ইউপি সদস্য বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরে। আবার বিকালে একটি পক্ষ থানায় মামলা করতে আসলে ইউপি সদস্য ও তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অপর পক্ষের হয়ে থানায় উপস্থিত হয়। দুপুরের ঐ বাকবিতণ্ডার জের ধরে পুলিশের এএসআই ইউপি সদস্যর গায়ে হাত তুলে গালমন্দ করে লাঞ্চিত করেন। 

এসময় ইউপি সদস্যের দুই বছরের কন্যা সন্তানটি তার কোলে ছিল। রবিবার সকালে এএসআই মো. মাহবুব হোসেনের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন তারা। পরে একই দাবিতে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারক লীপি প্রদান করেন। 

মাঈনুল ইসলাম টুটুল রাজাপুর প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য , দৈনিক ভোরের কাগজের রাজাপুর প্রতিনিধি ও গালুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় শনিবার সন্ধার পরেই থানার সামনে এএসআই মাহাবুবের প্রত্যাহার দাবিতে স্থানীয় সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিরা বিক্ষোভ করে আল্টিমেটাম দেন। 

বিক্ষোভে সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, রাজাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার রাজাপুর প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান খান। লাঞ্ছিতের শিকার মাঈনুল ইসলাম টুটুল অভিযোগ করেন, এলাকার মারামারির ঘটনা জনপ্রতিনিধি হিসেবে জানতে শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে থানায় গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে এএসআই মাহবুব আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত এএসআই মো. মাহবুব হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কাউকে লাঞ্ছিত করিনি। থানায় এসে দুই পক্ষ উত্তেজিত হয়। আমি তাদের সরিয়ে দিয়েছি।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন এবং রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আতাউর রহমান একই কথা বলেন। এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এ দুই কর্মকর্তা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App