×

সারাদেশ

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ভাগ্নেকে মারধর

মেয়র-এমপির পিএসসহ ১৪ জনের নামে মামলা

Icon

বেলাল হুসাইন বিজয়, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৪, ১০:০৮ পিএম

মেয়র-এমপির পিএসসহ ১৪ জনের নামে মামলা

ঝিনাইদাহ কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম, কাউন্সিলর রুবেল হোসেন, এমপির একান্ত সহকারী আব্দুর রউফ (বা থেকে)।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ভাগ্নে টিপু সুলতানকে মারধরের ঘটনায় পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে কালীগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে মামলাটি করেন বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ছোট বোন রিজিয়া বেগম। তুচ্ছ ঘটনায় মারধরের শিকার টিপু সুলতানের ডান পা ভেঙ্গে গেছে। আহত টিপু সুলতান বর্তমানে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত টিপু সুলতান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম টাইপিস্ট পদে কর্মরত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুবেল হোসেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ, মেয়রের ছোট ভাই সোহান বাবু, মেয়রের ভাগ্নে সবুজ হোসেন, ইরফান রাজা রুকু, জাবেদ হোসেন জুয়েল, মুরাদ জোয়ার্দার বাবলু ওরফে ভাড়াটে বাবলু, শিহাব হোসেন, সুমন হোসেন, সাগর হোসেন, কামরান হোসেন, জুয়েল হোসেন, উজ্জল দাস। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ১০/১৫ জনকে।     

আরো পড়ুন: ডিসির কোলে তিন বাঘ

মামলার এজাহারে বাদী রিজিয়া বেগম উল্লেখ করেছেন, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর তার স্বামী মারা যান। চাকরির সুবাদে তারা মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের কলোনীতে থাকেন। শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় তার বড় ছেলে টিপু মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে আসে। শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজ আদায় করে কালীগঞ্জ শহরের চায়না বেডিং এন্ড কটন শপে পাপস কিনতে যায়। সামনে জায়গা না থাকায় রাস্তার এক পাশে মোটরসাইকেল রেখে দোকানে পাপস কিনতে যায় সে। এ সময় পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে এই মোটরসাইকেল কার জানতে চায়। তার বড় ছেলে দোকন থেকে বেরিয়ে এসে বলে আমার। এ সময় মেয়র অকথ্য ভাষায় মা-বাবা তুলে গালিগালজ করতে থাকে। তখন তার ছেলে মা-বাবা তুলে গালিগালাজ করার প্রতিবাদ করে। তখনই মেয়র আশরাফুল আলম ও তার সঙ্গে থাকা ২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুবেল হোসেন তার ছেলেকে মারধর শুরু করে। পরে সেখানে মেয়রের ভাই-ভাগ্নেসহ উক্ত আসামিরা মারধর করে। তিনি এ ঘটনার শাস্তি দাবি করেন। 

এ বিষয়ে জানতে পৌর মেয়র আশরাফুল আলমের মোবাইলে ফোন দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। 

কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ জানান, এ ঘটনায় রিজিয়া বেগম নামে এক নারী বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App