×

সারাদেশ

গাজীপুরে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো ৪ জনের মৃত্যু

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৪, ১২:০৫ পিএম

গাজীপুরে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো ৪ জনের মৃত্যু

গাজীপুর কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনায় আরো দুই শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলো সোলাইমান (১০), রাব্বি (১১), জহিরুল ইসলাম কুটি (৩২) ও মোতালেব হোসেন(৪৮)। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১০ জনে। সোমবার (১৮ মার্চ) ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যায় শিশুদুটি। আর গত মধ্যরাতে মারা যান বাকি দুজন।

তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, সোলাইমানের শরীরের ৮০ শতাংশ, রাব্বির ৯০ শতাংশ, মোতালেবের ৯৫ শতাংশ ও জহিরুলের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। পোষ্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মোতালেব হোসেন, আর বাকি ৩ জন আইসিইউতে মারা গেছেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় চিকিৎসাধীন থাকা ৩ জনের ছুটি হয়েছে। বাকি ১৯ জন ভর্তি রয়েছেন। যাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।

মৃত সোলাইমানের মামা মো. সোহাগ জানান, ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার বালুকজান গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সোলাইমান। বাবা-মায়ের সঙ্গে কালিয়াকৈরে থাকতো। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়তো সে। এই ঘটনায় পরিবারটির সবাই সুস্থ্য থাকলেও গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হওয়ার পর সেটি দেখতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছিলো সোলাইমান।

এদিকে রাব্বির বাবা শাহআলম জানান, তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার তারটিয়া গ্রামে। পরিবার নিয়ে গত আট বছর যাবৎ গাজীপুরে থাকেন তিনি। সেখানে ফেরি করে আইসক্রিম বিক্রি করেন। রাব্বীরা দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিল। গত পাঁচ বছর আগে রাব্বীর মা নাজমা বেগম অসুস্থ হয়ে মারা যান। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। সেই ছোট স্ত্রীর কাছে থাকতো রাব্বী। রাব্বী নাটোর ক্যান্টনমেন্টে চতুর্থ শ্রেণিতে পরে। বাবার কাছে বেড়াতে এসেছিলেন রাব্বি। আসার পর সেখানে আগুনে দগ্ধ হয়।

মৃত জহিরুলের ভাতিজা মো. বাবু জানান, তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ভেড়াখোলা গ্রামে। বর্তমানে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে গাজীপুর কালিয়াকৈরে ভাড়া থাকতেন। সেখানে মাছের ব্যবসা করতেন জহিরুল।

মৃত মোতালেবের মেয়ে মনিরা খাতুন জানান, তাদের বাড়ি টাঙ্গাইল মধুপুর উপজেলার ইদুলপুর গ্রামে। কালিয়াকৈরে ভাড়া থাকতেন তার বাবা-মা। পেশায় তেমন কিছুই করতেন না তার বাবা। এই ঘটনায় তার তার মা রমিছা বেগমও (৩৮) দগ্ধ হয়েছেন। তার শরীরের ৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তিনিও বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App