×

সারাদেশ

কাউখালীতে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার এলপি গ্যাস

Icon

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম

কাউখালীতে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার এলপি গ্যাস

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা শহর কিংবা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ছে সিলিন্ডার ভর্তি লিকুইড পেট্রোলিয়ম গ্যাসের (এলপিজি) ব্যবহার। এ কারণে যত্রতত্র দোকানগুলোতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার ভর্তি এলপিজি গ্যাস। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করেই উন্মুক্ত অরক্ষিত ভাবে রেখে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোন অনুমতি বা লাইসেন্স ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। 

অভিযোগ রয়েছে নিম্ন মানের সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি যা ঘটতে পারে যে কোন মুহূর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনা সহ হতাহত। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে এলাকার মুদি দোকান, জুতার দোকান, খাদ্যের দোকান, ফ্লেক্সি লোডের দোকান, প্যাট্রল ডিজেল বিক্রির দোকানসহ রাস্তার সাইডে খেলা জায়গায় উন্মুক্ত ভাবে বিক্রি করা হচ্ছে ঐ সব গ্যাস সিলিন্ডার। বিষ্ফোরক অধিদপ্তর গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বিক্রয় ও বিপণন লাইসেন্স প্রদান করলেও সাব-ডিলারের নামে যত্রতত্র সিলিন্ডার বিক্রি করছে। যে খানে নেই ফায়ার সার্ভিসের কোন অনুমতি পত্র কিংবা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। 

বিষ্ফোরক আইন ১৮৮৪ এর অধীনে গ্যাস সিলিন্ডার বিধি মালা ২০০৪ এর ৬৯ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া অনধিক ১০ টি গ্যাস পণ্যের সিলিন্ডার মজুদ করা যাবেনা।  তবে বিধি ৭০ ধারা অনুযায়ী এসব সিলিন্ডার মজুদ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণ অগ্নি নিবারক যন্ত্রপাতি এবং নিয়ন্ত্রক সরঞ্জাম মজুদ রাখতে হবে। নিরাপত্তা বিবেচনায় বলা আছে জনপদ থেকে কম পক্ষে ১০০ মিটার দুরে সিলিন্ডার বিক্রয় কেন্দ্র করতে হবে। এমনকি সিলিন্ডার গ্যাস স্থাপনা প্রাঙ্গণে দিয়াশলাই বা আগুন লাগতে পারে এমন কোন বস্তু বা সরঞ্জাম রাখা যাবে না। মজুদ করা স্থানের কাছাকাছি আলো বা তাপের উৎস থাকা যাবে না। কাউখালী স্টেশন অফিসার সূত্র জানান, আমরা অগ্নি নিবারণের কাজ করে থাকি বিষয়টি লাইসেন্স শাখা অথবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App