×

সারাদেশ

প্রবহমান খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

Icon

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৪, ০১:০৯ পিএম

প্রবহমান খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

ছবি: ভোরের কাগজ

কুয়াকাটায় কালভার্ট ও খাল দখল করে বিশালাকৃতির ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হওয়াসহ খাল ভরাট হবার উপক্রম হয়েছে। 

পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের  কম্পিউটার সেন্টার সংলগ্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ দখল কার্যক্রম চলছে। এমন দখল দূষণের কারণে পরিকল্পিত নগরায়ন কতটুকু সম্ভব হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পৌরবাসীর। 

এ ঘটনায় কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় ভূমি প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও বন্ধ হয়নি নির্মাণ কাজ।

জানা গেছে, কুয়াকাটা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জামাল মাঝির ছেলে আলী হায়দার আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশের প্রবহমান খালের উপর বিশালাকৃতির একটি টং ঘর নির্মাণ করেছে। ফলে একটি বক্স কালভার্ট ঘরটির নিচে চাপা পরেছে। 

খালটি স্থানীয় ফসলি জমিসহ জমে থাকা অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনে এতদিন ব্যবহৃত হয়ে আসলেও দখলের কারণে এটি হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। খালটি সরু হয়ে প্রবাহ বন্ধের উপক্রম হয়েছে। তদারকির অভাবে খালের পশ্চিম পাশের কিছু অংশ ইতিমধ্যে ভরাট করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। অন্যদিকে পূর্বে করা হয়েছে মাছের ঘের। 

এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে দখল-দূষণ চলে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ‘দখল-দূষণের কারণে খালটি ভরাট হয়ে গেছে। যেটুকু বাকি আছে তাও ভরাট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দিন দিন যেভাবে খাল ভরাট ও দখল হয়ে আসছে তাতে আগামীতে খালের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।’

খাল ও কালভার্ট দখল করে ঘর নির্মাণ করার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত আলী হায়দার ভোরের কাগজকে জানান, খালের উপর টং ঘর নির্মাণ করেছেন তিনি এটি সত্য। তবে ঘরের নীচ দিয়ে পানি চলাচল করতে পারছে। কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশনেও কোন সমস্যা হচ্ছে না। 

তিনি আরো দাবি করেন, ‘এ বিষয়ে পৌর কাউন্সিলর, মেয়র ও ভূমি অফিসের লোকজন অবগত আছে।’

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘খালটি দিয়ে এই এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছে অনেক আগে থেকেই। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ঘের নির্মাণসহ নানাভাবে খালটি দখল হয়ে গেছে। এটি রক্ষায় ভূমি কর্মকর্তারা উদ্যোগ না নেয়ায় দখল রোধ করা যাচ্ছে না।

ছবি: ভোরের কাগজ

এ বিষয়ে মহিপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আ.ন.ম মুরাদুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অফিসের অন্যরা জানতে পারে। কুয়াকাটা গিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।’

কুয়াকাটা পৌর মেয়রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ আমি এ ঘটনায় বিস্তারিত কিছু জানি না। কেউ আমাকে কোন কিছুই জানায়নি। কাউন্সিলরের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত তহসিলদারকে পাঠিয়েছি। উনি ফিরে এলে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App