×

সারাদেশ

নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এমপি রতন

Icon

রাসেল আহমদ, মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) থেকে

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম

নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এমপি রতন

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ ছয় আসামি অস্থায়ী জামিন পেয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ধর্মপাশার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের এই জামিন দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল হাই তালুকদার বলেন, সাবেক সংসদ সদস্যসহ মামলার ছয় আসামি বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে অস্থায়ী জামিন পেয়েছেন।

এর আগে, একই মামলায় গত ২৪ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান তারা। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশে গত ৬ জানুয়ারি ধর্মপাশা থানায় মামলাটি করেন ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক। নির্বাচন কমিশন থেকে গত ৫ জানুয়ারি কমিশনের উপসচিব (আইন) মো. আবদুছ সালাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মামলাটি করার নির্দেশ দেয়া হয়।

আরো পড়ুন: মাটিচাপা দেয়া হলো ৩৬০ কেজি বিষাক্ত চিংড়ি

এ বিষয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ও আমার লোকজনদের জড়িয়ে যে মামলাটি করা হয়েছে, তা পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে আমি আইনের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল। সত্যের জয় হবেই হবে।’

গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও মধ্যনগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। ২৮ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ প্রবাল চক্রবর্তীর কাছে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ ওরফে মুরাদ। অনুসন্ধান কমিটির কারণ দর্শানোর নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ ডিসেম্বর মোয়াজ্জেম হোসেন কমিটির কাছে জবাব দেন। একই দিন অভিযোগকারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে অনুসন্ধান কমিটি। পরে নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান।

আরো পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ১১

নির্বাচন কমিশন থেকে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন, নূরে আলম নুরু, আবুল কাশেম, আবুল হাসেম, মোজাহিদ ও তোফায়েল নামের ব্যক্তিরা ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকা কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় তাদের স্মার্টফোন ভেঙে ফেলেন। নৌকার ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর এবং নৌকার সমর্থকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাদের কিলঘুষি, গলা টিপে ধরাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

উল্লেখ্য, বিতর্কিত এই সাবেক এমপি রতনের বিরুদ্ধে নির্বাচন চলাকালীন সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা, ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক টাকার ছড়াছড়িসহ সংসদ সদস্য থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার, বেপরোয়া লুটপাট, ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি, জমিদখল, স্বজনপ্রীতি এমনকি খুনের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে অবৈধ পন্থায় বিপুল সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থপাচার সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App