×

সারাদেশ

দাউদকান্দি

পীরের বিরুদ্ধে মাজারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

Icon

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম

পীরের বিরুদ্ধে মাজারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার দাউদকান্দির বারপারা ইউনিয়নের কানড়ায় ক্বারী কেরামত আলী ওরফে কেরা পাগলার মাজার শরীফের গদিনিশীন পীর মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দানকৃত টাকা ও মানতের গৃহপালিত পশু আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (৪ মার্চ) বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ওই গদিনিশীন পীরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন কেরা পাগলার ওয়ারিশ খাদিজা আক্তার।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,  উপজেলার কানড়া গ্রামের ক্বারী কেরামত আলীর মাজারে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বার্ষিক ওরস অনুষ্ঠিত হয়। ওরস পরবর্তী সময়ে মুজিবুর রহমান ওই এলাকার কিছু প্রভাবশালীদের নিয়ে ওরসে দানকৃত গরু,খাসি, হাঁস মুরগী ও নগদ টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। কিন্তু এ বছর ওরস শুরু হওয়ার আগেই কেরা পাগলার বাড়ীর মৃত কামাল উদ্দিন ফকিরের মেয়ে খাদিজা আক্তার দানবাক্সে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে মুজিবুর রহমান তার লোকজন নিয়ে সেই তালা ভেঙ্গে টাকা পয়সা নিয়ে যায়।

খাদিজা আক্তার বলেন, আমার বাবা বেচে থাকতে মাজারের টাকার হিসাব চেয়েছিলেন তার কাছে। পরে তারা আমার বাবাকে মারধর করে মাজার থেকে বের করে দিয়েছিলেন। পরে এনিয়ে বাড়াবাড়ি করা হলে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়েছিলেন মুজিবুর ও তার সঙ্গে থাকা প্রভাবশালীরা । ওই সময় এলাকার লোকজন নিয়ে শালিস বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে মাজারে দানকৃত টাকা ছাড়াও আরো অন্যান্য জিনিস আনুপাতিক হারে হিস্যা বুঝিয়ে দেয়া হবে। এ বছর ওরসের সময় দানবাক্সে আমিও একটি তালা লাগাই। আমাকে না জানিয়ে মুজিবুর রহমান তার লোকজন নিয়ে তালা ভেঙ্গে দানবাক্সের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাজারুল ইসলাম মানিক সওদাগর বিষয়টি নিয়ে বলেন, লোকমুখে শুনি মাজারের টাকা নিয়ে প্রতিবছরই ঝামেলা হচ্ছে। এবারো নাকি তালা ভেঙ্গে টাকা নিয়ে গেছে। কেন বা কি কারণে হয় এনিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে যারা করেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হউক। সেই সাথে এলাকার শান্তি বজায় রাখতে সব ওয়ারিদের সমন্বয়ে মাজার পরিচালনা কমিটি করতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এদিকে মাজারে দানকৃত টাকা ও মানতের গৃহপালিত পশু আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গদিনিশীন মুজিবুর রহমান বলেন, এটা নিয়ে তারা অভিযোগ করেছেন যে, আমরা টাকা আত্মসাৎ করেছি তা সঠিক না। অভিযোগকারী দান বাক্সে একটি তালা দেয়। এরপর তাকে ফোন করে পাইনি। পরে এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে তালা ভেঙ্গে ফেলি। আর ভক্তদের দান করা টাকা মাজারের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হয়। 

এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরফাতুল আলম বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App