×

সারাদেশ

শিবালয় উপজেলা নির্বাচনে ৩ প্রার্থী

Icon

সুরেশ চন্দ্র রায়, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম

 শিবালয় উপজেলা নির্বাচনে ৩ প্রার্থী

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে তিন প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতায় মোবারক হোসেন খান পান্নু, ধনসম্পদে আব্দুর রহিম খান ও রাজনীতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান খান জানু এগিয়ে আছেন বলে জানান শিবালয় উপজেলাবাসী।

উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনায় সর্বসাধারণের দৃষ্টিতে- মোবারক হোসেন খান পান্নু একজন উচ্চ শিক্ষিত ও শতভাগ স্বচ্ছ লোক। পান্নু খান যদি জনপ্রতিনিধি হওয়ার প্রস্তুতি কয়েকবছর আগে থেকেই নিতেন তবে শিবালয়ে তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকতো না। তিনি রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও সবসময়ই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে সমর্থন করেন।

তিনি মানুষের প্রভূত উপকার না করতে পারলেও তিনি কখনো কারো ক্ষতি করেননি। জন্মসূত্রেই বেশ অর্থ সম্পদের মালিক হওয়ায় তিনি কখনো অন্যের ধনসম্পদের প্রতি লোভ করেননি। বুকে বিষ চেপে রেখে তিনি কখনো অভিনেতার মতো মুখে মধুর কথা বলেন না। তিনি সবসময় সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে পছন্দ করেন।

পান্নু খান অনেকের মতো সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে রসালো বক্তব্য দিতে পারেন না। তিনি অত্যন্ত স্পষ্টবাদী একজন লোক। এই ব্যক্তির নামে আজ পর্যন্ত পত্রপত্রিকায় কোনো নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশিত হয়নি। শিবালয় উপজেলার সুশীল সমাজের অনেকের ধারণা, পান্নু খানের মতো ব্যক্তি চেয়ারম্যান হলে অচিরেই পাল্টে যাবে গোটা উপজেলার চিত্র।

আরো পড়ুন: অষ্টগ্রাম হাওরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন

আব্দুর রহিম খান সম্পর্কে শিবালয় উপজেলাবাসি বলেন, নাটকীয়ভাবে জিরো থেকে হিরো বনে যাওয়া এক ব্যক্তি আব্দুর রহিম খান। তার শৈশব কেটেছে চরম আর্থিক সংকটে। যে কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন ও রাজনীতির গভীরে প্রবেশ করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। পূর্ব পুরুষের অর্থ সম্পত্তি না থাকলেও কেউ যদি কঠোর পরিশ্রম করেন তবে ভবিষ্যতের জন্য ব্যাংক ব্যালেন্স না করতে পারলেও স্বচ্ছলভাবে সংসার পরিচালনা করা সম্ভব।

কিন্তু শিবালয়ের আব্দুর রহিম খান একমাত্র বিরল ব্যক্তি যিনি শূন্যের কোঠা থেকে সম্পদের সুউচ্চ স্থানে আরোহণ করেছেন। এটি কিভাবে সম্ভব হয়েছে একমাত্র জানেন তিনি আর জানেন সৃষ্টিকর্তা। পাহাড়সম টাকার মালিক হওয়ার পরও টাকার নেশা যেন তাকে পেয়ে বসেছে।

রাজনীতি না বুঝলেও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগে এই সুযোগটিই কাজে লাগান আব্দুর রহিম খান। এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে তিনি একবার উপজেলা চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছিলেন। অবশ্য পরের বছর তিনি এই ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখতে পারেননি।

আরো পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে না আসলে বিএনপিকে বহুদিন খেসারত দিতে হবে

বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান খান জানু সম্পর্কে উপজেলাবাসী বলেন, তিনি শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি ১৯৭১ সালে ঢাকা দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২ নম্বর সাব-সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি রাজনৈতিক এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। শিবালয় উপজেলার জনসাধারণের কাছে অতি পরিচিত মুখ। আওয়ামী লীগে রয়েছে তার ভিন্নমাত্রার গ্রহণযোগ্যতা। তবে, এবছর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীও পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করবেন বলে অভিমত তাদের।

উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ পরিশেষে ভোরের কাগজকে জানান, শিবালয়ে এবছর ভোটের মাঠে লড়াই হবে ত্রিমুখী। শুধু বিদ্যান, অঢেল ধনসম্পদ কিংবা রাজনৈতিক গুণাবলী দিয়ে এবছর বিজয় অর্জন করা বেশ কঠিন। এই তিন গুণাবলীর সাথে যে প্রার্থীর সততা ও স্বচ্ছতা বেশি উপজেলাবাসি এবার তাকেই জয়যুক্ত করবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App