×

সারাদেশ

সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবীতে রৌমারীতে মিছিল

Icon

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩২ এএম

সীমান্তে হত্যা বন্ধের দাবীতে রৌমারীতে মিছিল

সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবীতে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃত্বে মিছিল হয়েছে রৌমারীতে। ঘণ্টাব্যাপি সড়ক অবরোধ করে প্রতীকী লাশ নিয়ে মিছিল করে স্থানীয়রা। মিছিলটি বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানায়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বীর  মুক্তিযোদ্ধা শামছুল আলম, সাইফুল ইসলাম লাল, এনইউ আহমেদ, সৌরভ হোসেন বেলাল, মো. আরিফসহ আরো অনেকে। কর্মসূচীটি যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে। 

ভোরের কাগজকে হানিফ বাংলাদেশী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও মিয়ানমার সবসময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত সবসময় সীমান্তে নিরীহ মানুষদেরকে গুলি করে হত্যা করছে। কিছুদিন আগেই এক বিজিবি  সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বি এস এফের গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকারের অধিকার সংস্থার হিসেবে ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা করেছ বি এস এফ। এসময় বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছে ১১৮৩ জন। অন্যদিকে মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে নিক্ষেপ করা মর্টার সেলের আঘাতে দুজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়েছেন। সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে আমি প্রতীকী লাশ কাঁধে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পদযাত্রা করেছি।’

হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সবসময় প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশ গুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়, কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুটি বাংলাদেশের সাথে বৈরি আচরণ করছে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরুচোর, চোরাকারবারি। আমার দাবি কেউ চোরাচালানে জড়িত থাকলেও তাকে কেন গুলি করে হত্যা করা হবে? আইনের মাধ্যমেও তো তোদের বিচার করা সম্ভব। মিয়ানমার ও ভারত যদি তাদের দেশের পাচারকারীদের দমন করতে পারে তাহলে এমনিতেই বাংলাদেশের পাচার বন্ধ হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে দলই এসেছে তারাই দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশীদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বল নতজানু নীতির কারণে ভারত-মিয়ানমার সবসময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালানোর সুযোগ পেয়েছে। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের মানুষ কখনও কোন দেশের দাদাগিরি মেনে নেয়নি নতুন প্রজন্মও কোন দেশের আগ্রাসন মেনে  নেবে না। আমি এই কর্মসূচিতে দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। দেশের সচেতন মানুষদের এই কর্মসূচী অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। যেদিন যে জেলা বা উপজেলায় এই মিছিল যাবে সেখানকার সকল দল ও সংগঠনকে আমাদের সাথে সংহতি জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App