×

সারাদেশ

২ মেয়ের মৃত্যু

অজানা ভাইরাস আতঙ্কে বাবা-মা আইসোলেশনে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২১ এএম

অজানা ভাইরাস আতঙ্কে বাবা-মা আইসোলেশনে

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে বরই খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পরে দু্ই সহোদর। পরে দুই দিনের ব্যবধানে দুই শিশু মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হলেও চিকিৎসকরা জানিয়ে এটি অজানা কোন ভাইরাসে আক্রমণে হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। সহোদর দুই বোনের মৃত্যুর পর তাদের বাবা ও মাকে হাসপাতালের নিপাহ ওয়ার্ডে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। দুই শিশুর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মুনতাহা মারিশা (২) ও মুফতাউল মাশিয়া (৫) নামের ওই দুই শিশু রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের মনজুর রহমানের মেয়ে। মনজুর রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। তার স্ত্রীর নাম পলি খাতুন। পরিবারের সবাই রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারে বসবাস করতেন।

চিকিৎসকরা জানান, কুড়িয়ে পাওয়া বরই না ধুয়ে খেয়েছিল ভুক্তভোগী দুই শিশু। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মারা যায় মনজুরের বড় মেয়ে মাশিয়া। এর আগে গত বুধবার একই লক্ষণ নিয়ে মারা যায় ছোট মেয়ে মারিশা। পরে শিশুদের বাবা-মা মনজুর ও পলিকে হাসপাতালের নিপাহ আইসোলেশনে নেয়া হয়।

এদিকে, দ্বিতীয় মেয়ে মারা যাবার পর তাদের আইসোলেশনে রাখার কারণে মেয়ের জানাজাতেও যেতে পারেননি তারা। শনিবার বিকেলে স্বজনদের মাধ্যমে মাশিয়ার মরদেহ বাড়িতে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয় মরদেহ।

মনজুর রহমান জানিয়েছেন, ‘গত মঙ্গলবার কোয়ার্টারের পাশে কুড়িয়ে পাওয়া বরই খেয়েছিল মারিশা আর মাশিয়া। পরদিন বুধবার মারিশার জ্বর ও বমি হয়। এরপর তাকে রাজশাহীর সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে শুক্রবার মাশিয়ার জ্বর আসলে রাজশাহী সিএমএইচে আনলে তার পুরো শরীরে ছোট কালচে দাগ উঠতে দেখা যায়। চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) পাঠায়। শুক্রবার রাতে রামেক হাসপাতালে আনলে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শনিবার বিকেলে মাশিয়ার মৃত্যু হয়।

রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধারণা, নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে অন্য কোনো ভাইরাসের কারণেও হতে পারে। এ ঘটনায় পুরো পরিবারের সবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘টেস্টের রিপোর্ট হাতে আসলে শিশু দুটির মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তবে তাদের বাবা-মায়ের শারীরিক অবস্থা ভালো। কিন্তু দুই সন্তান হারিয়ে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন।’

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App