×

সারাদেশ

নামাজ পড়তে ডাকায় শিক্ষককে পিটিয়ে জখম

Icon

হারুন অর রশিদ আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম

নামাজ পড়তে ডাকায় শিক্ষককে পিটিয়ে জখম

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার পৌর শহরের সরকারি একে হাইস্কুল চৌরাস্তা সংলগ্ল আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীকে ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে (২৫) পিটিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে সকল শিক্ষার্থীদের ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য ঘুম থেকে উঠতে বলেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি। এতে ওই মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হাফেজ ইমাম হোসেন (১৮) ও হাফেজ জিহাদ হোসেন (১৭) ক্ষুব্ধ হয়। পরে তারা শিক্ষককে গাছের গুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে এবং তার পকেটে থাকা ৭ হাটার টাকা ছিনিয়ে নেয়। 

এতে শিক্ষক রাফি গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জায়েদ আলম ইরাম তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। 

আরো পড়ুন: শেরপুরের মামলায় বিএনপি নেতা চাঁদ কারাগারে

ওই ঘটনার পরপরই ছাত্ররা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত হাফেজ ইমাম হোসেন উপজেলার হলদিয়ার রাওঘা গ্রামের মামুন মৃধার পুত্র। অপর অভিযুক্ত হাফেজ জিহাদ হোসেনের বাড়ী পার্শ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলার আমখোলা গ্রামে। 

উল্লেখ্য অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষার্থী ওই মাদ্রাসা থেকে হাফিজি শেষ করে পুনরায় ৬ষ্ঠ (নাহবেমীর) শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে।

আহত শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমাম হোসেন ও জিহাদ আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে আমার পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকা ওরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি ওই ছাত্রদের শাস্তি দাবি করছি।

আরো পড়ুন: হামলার শিকার মেহেরপুরের দুই সাংবাদিক

মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ওমর ফারুক জিহাদী বলেন, ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষার্থী গাছের গুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হবে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জায়েদ আলম ইরাম বলেন, আহত শিক্ষককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু মোবাইল ফোনে বলেন, এখনো ওই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App