×

সারাদেশ

ভোর থেকে মর্টারশেল-গুলির শব্দ, টেকনাফে আতঙ্ক

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৪ এএম

ভোর থেকে মর্টারশেল-গুলির শব্দ, টেকনাফে আতঙ্ক

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সীমান্ত থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের গোলাগুলির প্রচণ্ড শব্দ থেমে থেমে শোনা গেছে।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের গোলাগুলি আর মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ থেমে থেমে শোনা গেছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। 

উনছিপ্রাং সীমান্তের স্থানীয়দের দাবি, ওপারে ঢেঁকিবুনিয়া এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিগুলো দখল করার পর আরাকান আর্মি ও অন্যান্য বিদ্রোহীরা টেকনাফ অংশে মিয়ানমারের শহর শীলখালী, বলিবাজার ও কুইরখালী দখল নিতে এই হামলা করছে।

আরো পড়ুন: ঘুমধুম সীমান্তে অবিস্ফোরিত মর্টারশেল উদ্ধার

এই প্রসঙ্গে উনছিপ্রাং এলাকায় বাসিন্দা দিলদার বলেন, আমার চিংড়ি ঘের সাতদিন্না থেকে মিয়ানমারের শহর কুমিরখালীর দূরত্ব ৪শ মিটার। ওই শহরে কি হয় সেটি খালি চোখে অনেকটা দেখা যায়। আজ সকাল থেকে কুমিরখালীর ঘাঁটি দখল নিতে বিদ্রোহীরা হামলা করছে। মর্টারশেলের বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ও আগুনের ফুলকিও দেখা যায়। বোমা যখন বিস্ফোরণ হয় তখন ভূমিকম্পের মতো অনুভূত হয়। এখানো চলমান আছে।

উনছিপ্রাং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ আহমদ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি আর মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ এখনো ভেসে আসছে। সীমান্তের কাছাকাছি যারা চিংড়ি চাষিদের নিরাপদ স্থানে আসার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

আরো পড়ুন: মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশে নিহত ২

হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, সকাল থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলা গৃহযুদ্ধের গুলাগুলির বিকট শব্দ শুনা যাচ্ছে। স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। হয়তো উনছিপ্রাং সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমারের শহর  কুমিরখালী দখল নিতে এই হামলা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত গুলাগুলি হয়েছিল। দিনে কিছুটা শান্ত ছিল। শনিবার সকাল থেকে নতুন করে আবারো গুলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), মিয়ানমার সেনাবাহিনী, পুলিশ, ইমিগ্রেশন সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার তিন শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী বাহিনী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে। বাহিনীগুলো হল- তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি-টিএনএলএ, আরাকান আর্মি-এএ এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি-এমএনডিএএ। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App