×

সারাদেশ

প্রেমে ব্যর্থতায় ভাইকে হত্যা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০০ পিএম

প্রেমে ব্যর্থতায় ভাইকে হত্যা

কক্সবাজারে আলোচিত শিশু আবিদ হত্যার মূল আসামি তারেক আজিজকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আসামির কাছ থেকে ১টি ব্যাটারিচালিত টমটম ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার তারেক আজিজ নিহতের চাচাত ভাই ও মধ্যম জুমছড়ির মো. আজিজের ছেলে। 

দুপুরে র‌্যাব-১৫ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন কোম্পানি কমান্ডার মো. আনোয়ার শামীম।

মো. আনোয়ার শামীম জানান, তারেক পেশায় একজন টমটমচালক এবং নিহত আবিদের চাচাত ভাই। সে দীর্ঘদিন আবিদের বড়বোনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে ভাইকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রায় সময় আবিদের জন্য চকলেট, আচার ও অন্যান্য খাবার নিয়ে আসত। ১ ফেব্রুয়ারি সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির সামনে থেকে আবিদকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে তার অটোরিকশায় তুলে পিত্রমখালী ইউনিয়নের জুমছড়ি হিন্দুপাড়াস্থ বাঁকখালী নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে নিয়ে খেলাধুলা করে।

সন্ধ্যা পর্যন্ত ছেলে আবিদকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অপরদিকে সন্ধ্যার পর একটি পুকুরপাড়ে আবিদকে বেঁধে রেখে বাড়িতে এসে অন্যদের সঙ্গে তারেকও খুঁজতে থাকে। যেন কেউ তাকে সন্দেহ না করে। 

শিশুকে খুঁজে না পেয়ে থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন আবিদের পরিবার। সবাই বাড়িতে চলে গেলে তারেক পুকুর পাড়ে এসে একটি মোবাইল নম্বর থেকে আবিদের মায়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে ছেলেকে অপহরণের কথা জানিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। একপর্যায়ে ধরা পড়ার আশঙ্কায় শিশু আবিদকে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে বাড়ি চলে আসে।

আবিদের মামা মো. শফিউল আলম লাকি বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকে আবিদ নিখোঁজ হয়। আমরা নিকট আত্মীয়সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত ১১টার দিকে একটি মোবাইল নম্বর থেকে আমার বোনের কাছে (আবিদের মা) কল আসে। ওপার থেকে আবিদকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়েছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। কিন্তু এরপরে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়ায় আমরা আর কোনো যোগাযোগ করতে পারিনি।

পরের দিন ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে পিএমখালী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডস্থ পুরাতন ব্রিক ফিল্ডের পাশে একটি পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় আবিদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আবিদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

এরপরে মামলাটি তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডে তারেক আজিজের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে র‌্যাবের কাছে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয় তারেক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App