নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ৩ জনের চোর দলের দুজন ওই গৃহবধূকে (২৯) ধর্ষণ এবং একজন তার মেয়েকে (১২) ধর্ষণ করে। এ সময় তাদের ঘর থেকে এক জোড়া করে কানের দুল, নাকফুল ও নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নারী ৩ সন্তানের জননী এবং শিশুটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে হাতিয়া থেকে এসে চরকাজী মোখলেছ গ্রামে নতুন বাড়ি করেন একজন দিনমজুর। ওই বাড়িতে স্ত্রী ও ৩ সন্তানসহ বসবাস করতেন তিনি। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গেলে দুই-তিন দিন পর বাড়ি ফিরে আসতেন ওই দিনমজুর। গত দুই দিন আগে কাজের সন্ধানে তিনি বাড়ির বাইরে যান। এ সময় বাড়িতে ৩ মেয়েকে নিয়ে ছিলেন ওই গৃহবধূ। রাত ২টার দিকে ঘরের সিঁধ কেটে ভেতরে প্রবেশ করে একজন। পরে সে ঘরের দরজা খুলে দিলে আরো দুজন ভেতরে প্রবেশ করে। এদের মধ্যে দুজন পালাক্রমে ওই গৃহবধূকে এবং একজন তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এরপর গৃহবধূর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘরে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা। গভীর রাতে শিশুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গৃহবধূর বাঁধন খুলে দেয়। খবর পেয়ে চরজব্বার থানায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছায়। মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত পুলিশ ওই স্থানে ছিলো। সকালে ভুক্তভোগীদের থানায় আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে এবং আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।