কুমিল্লা-২ (হোমনা-মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ এমপি বলেন, চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করণীয় তা করা হবে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) নিহত যুবলীগ নেতা কামরুল হাসানের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করতে তার বাড়িতে এসে তিনি এ কথা বলেন।

আব্দুল মজিদ বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হবে। এদিকে মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল আলম বলেন যতদিন পর্যন্ত এ চালিভাঙ্গায় কোম্পানির সাথে মিলে বালি ভরাট নামে আধিপত্য বিস্তার লাভ বন্ধ না হবে ততদিন এই এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আশা সম্ভব নয়।

মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি ও আমার সার্কেল এসপি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে যারা এলাকার বাইরে ছিল তাদের আশ্বস্ত করি এলাকায় যেতে। বাজারে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করি। হুমায়ুন চেয়ারম্যান ও তার ভাই সানাউল্লাহ আমাদের কথা দিয়েছিলেন কোনো রকম ঝামেলা করবে না। কিন্তু তারা তলে তলে পরিকল্পনা করে এই কাজটা করেছেন। ঘটনার সময় পুলিশ পাশে ছিল না; একটু দূরে ছিল। বাজারে ছিল পুলিশ; আর ঘটনা ঘটেছে নদীর পাড়ে। পুলিশ যাওয়ার আগেই তারা ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল আলম, জেলা পরিষদের সদস্য কাইয়ুম হোসেন, বড়কান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপন, ছাত্রলীগ নেতা রবিন ও কামরুজ্জামান সালাম সহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত সোমবার আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি কামরুল হাসান নিহত হয় ও ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা রব মিয়া বাদী হয়ে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ২৬ জন নামীয় ও ২৫ থেকে ২৬ জন অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করে।