×

সারাদেশ

সুন্দরগঞ্জ আশ্রয়ণ প্রকল্প

শীত-বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে ব্যারাকের হতদরিদ্র মানুষ

Icon

সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম

শীত-বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে ব্যারাকের হতদরিদ্র মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কয়েকটি ইউনিয়নের চরাঞ্চলে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতাধীন ব্যারাক নির্মাণের মাত্র ১৩ বছর পেড়িয়ে যেতে না যেতেই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। 

বিষয়টি নিয়ে জানা গেছে,  হত দরিদ্র-গৃহহীন মানুষের মাথা গোজার ঠাই করে দেয়ার লক্ষ্যে উপজেলার কাপাসিয়া-হরিপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে ২০১০ সালে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ৪৬০ পরিবারের জন্য ব্যারাক নির্মাণ করা হয়।

এর মধ্যে রয়েছে কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামের চরে ৪৫, কাজিয়ার চরে ১৬০, ভাটিবুড়াইলে ১৫০ এবং হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে ১০৫টি। এর মধ্য দিয়ে স্বপ্নের ঠিকানা হিসেবে ঠাই পায় ৪৬০ হতদরিদ্র পরিবার। 

কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের ১৩ বছর পেড়িয়ে যেতে না যেতেই এ এলাকার দরিদ্র ও গৃহহীন মানুষদের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। মানুষগুলো পড়ে যায় সেই আগের শঙ্কায়। যখন তাদের মাথা গোজার কোন ঠাই ছিলোনা। কারণ তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল এখন বসবাসের অনুপযোগী। খুব অল্প দিনেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ব্যারাকগুলো।

কাপাসিয়ার কয়েকটি ব্যারাক সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে সবগুলোরই অত্যন্ত জীর্ণ-শীর্ণ দশা। একটু লক্ষ্য করলেই চোখে পড়ে টিনের বেড়া ও ঘরের চাল চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ঘরগুলোতে বেড়া না থাকা ও চালের টিন ফুটো হওয়ায় চলতি শীতে তীব্র ঠান্ডা ও শীতে কাহিল হয়ে পড়ছেন ঘরগুলোতে বসবাসরতরা।

এদিকে বাদামের চর ব্যারাকে অবস্থানরত রেহেনা, ফাতেমা, আছমা, জাহানারা, দুলা, জাহাঙ্গীর ও মাইদুলসহ অনেকে জানান, ঘরগুলোর এমন অবস্থা হয়েছে যে তাতে অবস্থান করাই দায়।

তারা বলেন, কি শীত কি বৃষ্টি কোন সময়েই হামরা ঘরের ভিতর থাকবার পাই না। ঠান্ডা ও বৃষ্টির পানি বিছনে-পাতি ভিজে দেয়। তোমরা কন বাহে এই অবস্থায় কেমন করি ঘরগুলোতে থাকি। সরকার ব্যারাকগুলো ভালো করিও দেয় না। হামড়া দাবি করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হামাক ঘরগুলো দিছে। নয়া করি ঘরগুলো তুলে দেউক।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, ব্যারাকগুলো নতুন ভাবে নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম জানান, আমি নিজে উল্লেখিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকগুলো পরিদর্শন করেছি। বসবাসের অনুপযোগী ব্যারাকগুলো নুতন করে নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অবহিত করেছি। জরুরি ভিত্তিতে ঘরগুলো নির্মাণ হতে পারে। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App