বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে সৌদি প্রবাসীকে হত্যা
মেঘনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৪ পিএম
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে বেড়ানোর কথা বলে আপন চাচাতো ভাইকে ডেকে নিয়ে আল আমিন (৪২) নামের সৌদি আরব প্রবাসীকে হাতুড়ি দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করেছে সুজন মিয়া। আসামি সুজন মিয়া সোনারগাঁও থানাধীন শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দী গ্রামের আব্দুল মতিন মিয়ার ছেলে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে। কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার নদী বেষ্টিত চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের বালুর চর এলাকা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের পর শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন মেঘনা থানার ওসি। ঘটনার পর শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সুজন মিয়াকে সোনারগাঁ থানা পুলিশ আটক করে। এ ঘটনায় মেঘনা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। নিহত আল আমিন সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দী গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে।
নিহত আল আমিন এর ভগ্নিপতি হাবিবুর রহমান জানান, সুজন মিয়ার সঙ্গে তার আপন চাচাতো ভাই আল আমিন'র পূর্ব শত্রুতা ছিল। সম্প্রতি তাদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়। গত ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে আল আমিন সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে ডেকে নিয়ে যায় ঘাতক সুজন মিয়া। মেঘনা উপজেলার বিভিন্ন চরে বেড়ানো শেষে সন্ধ্যার পর হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে থেঁতলে হত্যা করে প্রবাসী আল আমিনকে। হত্যার পর ঘাতক সুজন মিয়া বাড়ি ফিরে আসে। তার কাছে পরিবারের লোকজন আল আমিনের কথা জানতে চাইলে এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে পালিয়ে গেছে বলে বাড়ির সকলকে জানিয়েছেন। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ার সন্দেহ হয় বাড়ির লোকজনের। তাকে চাপ প্রয়োগ করলে এক পর্যায়ে এ হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে এলাকার লোকজন তাকে আটক করে সোনারগাঁ থানায় সোপর্দ করে। তার দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী প্রবাসীর লাশ চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের বালুর চরে খুঁজে পান তার পরিবার। লাশ পাওয়ার পর মেঘনা থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। মেঘনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শুক্রবার বিকেলে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহসিন বলেন, সৌদি আরব প্রবাসী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুজন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হলে তাকে সেখানে হস্তান্তর করা হবে।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। লাশের পাশ থেকে বিরিয়ানীর প্যাকেট ও কোমল পানীর বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।