×

সারাদেশ

আ.লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, হত্যা নাকি আত্মহত্যা

Icon

তাজুল ইসলাম রাকিব, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম

আ.লীগ নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, হত্যা নাকি আত্মহত্যা

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম দেওয়ানের (৫২) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর বাদামতলীর বি বাড়িয়া নামক একটি হোটেল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রেখে আসেন। রাত হওয়ার কারণে শুক্রবার ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মঞ্জু দেওয়ান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ, হোটেল কর্তৃপক্ষ ও সিসিটিভির ফুটেজ থেকে জানা যায়, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শামীম দেওয়ান হোটেল বি বাড়িয়ায় এসে একটি রুম বুকিং করে। এরপর তিনি রুমে গেলে কিছুক্ষণ পরে পানি নিতে আসে এবং পুনরায় রুমে ফিরে যায়। পরে বৃহস্পতিবার বিকেল হয়ে গেলেও তিনি রুম থেকে বের হন নি। পরে স্থানীয় পুলিশকে ঘটনাটি জানালে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহতের ভাই মঞ্জু দেওয়ান জানান, প্রতিদিন নিজস্ব গাড়ি নিয়ে ঢাকায় গিয়ে ব্যবসা করতেন। ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকার তেলঘাট সংলগ্ন ৯১ মার্কেটে থান কাপড়ের ব্যবসা ছিল। বুধবার সকালে বাসা থেকে বের হয়ে ঢাকা যায় তিনি। পরে ১১টার দিকে দোকানের ম্যানেজারকে ফোন করে জানায় তার আসতে দেরি হবে। কেননা তিনি তাগাদায় যাচ্ছে। এরপর থেকে ফোন বন্ধ এবং অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরো জানান, আমার ভাইকে গত দেড় মাসের ব্যবধানে আরো দুইবার অপহরণ করা হয়েছিলো। পরে উদ্ধার করা হলে তিনি কারও নাম আমাদের বলেনি। শুধু বলতো যদি আমি কাউকে এ ঘটনা বলে দেই তাহলে আমাকে মেরে ফেলবো। অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।

নিহত শামীমের ভাতিজা সম্রাট দেওয়ান ঘটনাস্থল থেকে রাত ৮টার দিকে জানান, আজ নিয়ে ৩ বার নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় কেরাণীগঞ্জ থানায় বৃহস্পতিবার সকালে নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সন্ধ্যায় হাসপাতালে খোঁজতে গিয়ে চাচার মরদেহ চোখে পরে।

এ বিষয়ে লৌহজং থানার এএসআই আলমগীর হোসেন জানান, এর আগেও শামীম দেওয়ান নিখোঁজ হয়েছিলো। আমাদের থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়। পরে নাম্বার ট্যাগিং করে ফরিদপুরের একটি হোটেলে লাস্ট লোকেশন পাই। এরপর হোটেলের ম্যানেজারের সাথে কথা বলে তাকে উদ্ধার করি এবং জানতে পারি তিনি ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিতে চেয়েছিলো, এমতাবস্থায় হোটেল কর্তৃপক্ষ আওয়াজ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর শামীম দেওয়ান আমাদের থানায় এসে জিডিটি তুলে নেন।

নিহত শামীম উপজেলার দক্ষিণ হলদিয়া গ্রামের মৃত হাকিম দেওয়ানের ছেলে। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে শামিম নিহত হয়েছেন বলে পরিবারের সদস্যদের ধারণা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App