×

সারাদেশ

সুনামগঞ্জ -১

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলায় আগাম জামিন

Icon

রাসেল আহমদ, (মধ্যনগর) সুনামগঞ্জ থেকে

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলায় আগাম জামিন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরসহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় সুনামগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ ৬ জনকে জামিন দিয়েছে উচ্চ আদালত। 

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেন ৬ সপ্তাহের জন্য অভিযুক্ত  মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ মামলার অপর পাঁচ আসামিকে অস্থায়ী আগাম জামিন প্রদান করেন। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের এফিলিয়েট বিভাগের জারীকৃত নোটিশের প্রেক্ষিতে আসামী পক্ষের আইনজীবী মো. জিয়াউল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে অভিযুক্ত মোয়াজ্জেম হোসেন রতনসহ ৬ জনের আগাম জামিনের বিষয়টি জানা গেছে। সাবেক এমপি রতনের ভাই নুরুজ্জামান মিয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ-১ আসন। নির্বাচন কমিশন থেকে গত ৫ জানুয়ারি কমিশনের উপ সচিব (আইন) মো. আব্দুছ সালাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এই মামলা করার নির্দেশনা দেয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশে ৬ জানুয়ারি ধর্মপাশা থানায় মামলাটি করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক।

ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনের (কেটলি প্রতীক) নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরদিন সুনামগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ প্রবাল চক্রবর্তীর কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ। অনুসন্ধান কমিটির কারণ দর্শানো নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ ডিসেম্বর মোয়াজ্জেম হোসেন কমিটির কাছে জবাব দেন। কারণ দর্শানো নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ ডিসেম্বর মোয়াজ্জেম হোসেন কমিটির কাছে জবাব দেন। একই দিন অভিযোগকারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে অনুসন্ধান কমিটি। পরে নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান।

নির্বাচন কমিশন থেকে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সুনামগঞ্জ-১ নির্বাচনী এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনসহ নূরে আলম, আবুল কাশেম, আবুল হাসেম, মোজাহিদ ও তোফায়েল জয়শ্রী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকা কর্মীদের ওপর হামলা চালান। তাঁদের স্মার্ট ফোন ভেঙে ফেলেন। নৌকার ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। তাদের মারধর করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। যা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার (২০০৮) লঙ্ঘন। এ অবস্থায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধর্মপাশা থানার এসআই আবদুস সবুর মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ভোরের কাগজকে জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলার ৬জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন পেয়েছেন। এসংক্রান্ত একটি চিঠি তার হোয়াটসএ্যপে পাঠানো হলেও অফিশিয়ালি এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র এখনো পাননি।

উল্লেখ্য, সাবেক এমপি রতনের বিরুদ্ধে নির্বাচন চলাকালীন সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা, ভোটারদের মাঝে ব্যাপক টাকার ছড়াছড়িসহ সংসদ সদস্য থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার, বেপরোয়া লুটপাট, জমিদখল ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে অবৈধ পন্থায় সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App