×

সারাদেশ

নালিতাবাড়ীতে আধিপত্য নিয়ে দু' পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩৩

Icon

শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪২ এএম

নালিতাবাড়ীতে আধিপত্য নিয়ে  দু' পক্ষের সংঘর্ষে  আহত ৩৩

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মাদরাসার নামে ওয়াকফকৃত জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হামলায় কমপক্ষে ৩৩ জন আহত হয়েছেন। 

শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের গোল্লারপাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত ৮ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে আটক করেছে। 

সূত্রে জানা গেছে, বিগত প্রায় ৪০ বছর পূর্বে উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের গোল্লার পাড় ইবতেদায়ী মাদরাসার নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ওই এলাকার মৃত সফর উদ্দিন, মৃত নীল মাহমুদ ও মৃত ছাবেদ আলী মিলে মোট ১ একর ৫ শতাংশ জমি ওয়াক্ফ করে দেন। বর্তমানে ইবতেদায়ী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানটি কোন কারণে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় মাদরাসার ওয়াকফকৃত সম্পত্তি দাতার ওয়ারিশগণ মজিবর মেম্বার তছরুপ করে আসছিল। পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী গোল্লারপাড় মদিনাতুল উলুম কওমি মাদ্রাসা নামে নতুন একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে আগের বিলুপ্ত হওয়া মাদরাসার সম্পত্তির উপার্জিত অর্থের অংশ বর্তমান প্রতিষ্ঠিত কওমি মাদরাসায় দান করে আসছিল কর্তৃপক্ষ। এমতাবস্থায় গোল্লার পাড় জামে মসজিদের কমিটি গঠন নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে এক পর্যায়ে ওয়াকফকৃত সম্পত্তির উপার্জিত অংশ ওই কওমি মাদরাসার নামে না দেয়াড় সিদ্ধান্ত নিলে কওমি মাদরাসার সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান উসমান গনি ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আলীর মাঝে বিরোধ বাঁধে।

বর্তমান সভাপতি উসমান গনি চলমান বোরো আবাদে ওই জমি চাষ করে লাগানোর প্রস্তুতি নিলে সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আলীর লোকজন গত শুক্রবার গোপনে গিয়ে ওই ধানখেত লাগিয়ে ফেলে। এনিয়ে শনিবার সকাল ৯ টার দিকে সভাপতি উসমান গনির নেতৃত্বে কয়েক শত লোকজন নিয়ে সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আলী ও তার স্বজনদের বাড়িতে অতর্কিতে হামলা- ভাঙচুর ও  লুটপাট করে ৩টি দোকান ঘর ও  ৩টি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। এতে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উভয় পক্ষের মাঝে ব্যাপক ঝগড়া বাঁধে ও মারপিট হয়।

এসময় উভয় পক্ষের হামলায় কমপক্ষে ৩৩ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়।

বর্তমানে কয়েকজন শেরপুর ও নালিতাবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মামুন, আজাদ, মাসুদ ও বাক্কি মিয়াসহ ৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বল্লম, লাঠিসোঁটা ও কুড়াল উদ্ধার করেছে। এছাড়া এ ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী সহকারী পুলিশ সুপার দিদারুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App