দোহারে বাড়ি থেকে আশ্রিতদের চলে যেতে বলায় একই পরিবারের পাঁচ জনকে ঘরে তালাবদ্ধ করে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১০, সিপিসি-২ (ভাগ্যকুল) এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এ কে এম কাউসার চৌধুরী। 

এর আগে, গত সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঢাকার দোহার উপজেলার ধৃতপুর গ্রামে শেখ জুলহাসের বসত ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় তার বাড়ির আশ্রিত রুবেল শেখ (২১) ও রুবেলের কয়েকজন সহযোগী। এতে শেখ জুলহাস (৫৩) ও তার স্ত্রী ফাহিমা বেগম (৩৫) এই দম্পতির মেয়ে জান্নাত আক্তার (১৩) ও ছেলে জুনায়েদ হোসেন (৮) ও ভাতিজি তাবাসসুম আক্তার (১০) অগ্নিদগ্ধ হন। দগ্ধ ব্যক্তিদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

এ কে এম কাউসার চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, রুবেল দীর্ঘদিন ধরে তার মাকে নিয়ে জুলহাসদের বাড়িতে থাকতেন। রুবেল অত্যন্ত দুষ্ট প্রকৃতির লোক ছিল, তার কথাবার্তা ও চালচলন জুলহাস উদ্দিনের কাছে অপছন্দ হওয়ায় ঘটনার ১৩-১৪ দিন আগে রুবেলকে তাদের বাসা থেকে চলে যেতে বলে। এতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে রুবেল বাড়ি ছেড়ে দেয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে জুলহাসের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। বাড়ি থেকে বেড় হওয়ার সময় জুলহাসকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। গত সেমবার জুলহাস ও তার পরিবারের সবাই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। সে সময় রুবেল তার সহযোগীদের নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে জুলহাসের ঘরে তালা দেয়। সিরিঞ্জের মধ্যে ঘরের মেঝেতে পেট্রোল ছিটায়। ঘরে সবাইকে হত্যা করতে ঘরের বাহিরে ও ভেতরে আগুন জালিয়ে দেয়। এতে আহত পাঁচ জনের শরীরের ২০-৫০ ভাগ অগ্নিদগ্ধ হন। ঘটনার দিন দোহার থানায় মামলা হলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল রুবেল ও তার সহযোগীরা।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার রাতে রুবেল ও তার আরেক সহযোগী রানা মাহমুদকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিঙ্গাসাবাদ করা হলে তারা দোষ স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরো কয়েকজন জড়িত আছে। তাদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে।