×

সারাদেশ

চসিকের অভিযানে বন্ধ হল পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণের কাজ

Icon

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম

চসিকের অভিযানে বন্ধ হল পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মাণের কাজ

ছবি: ভোরের কাগজ

চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণকেন্দ্রে আসকার দীঘি পাড়েই পাহাড় কেটে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান বাড়ি নির্মাণ করছে। স্থানীয় জনসাধারণের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টীম অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করে দেয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের টীমের খবর পেয়ে এই আবাসন প্রকল্পের প্রকল্প প্রকৌশলী পালিয়ে যান বলে সিটি কর্পোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযান সম্পর্কে চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতি সর্ববিদ্যা জানান, নগরীর আসকার দিঘীর পাড় এলাকায় পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে জানতে পেরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তখন জানা যায়, ৯২ জন ব্যক্তি একজোট হয়ে স্বপ্নিল ফ্যামিলি ওনার্স নামীয় একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আসকার দীঘির পাড়ে পাহাড় কেটে ৩টি ভবন নির্মাণ করছিলেন। অভিযানের কথা জানতে পেরে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সাইট ইঞ্জিনিয়ার পালিয়ে যান। দায়িত্বশীল আর কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। আমরা প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। ঘটনাস্থলে মালিক পক্ষের কাউকে না পাওয়ায় আমরা মামলা বা জরিমানা করতে পারিনি। তবে, আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানাচ্ছি। এই পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা হবে।

চট্টগ্রামে পরিবেশ রক্ষায় আন্দোলনকারী সংগঠন ও সাধারণ জনগণের প্রশ্ন- এত বড় একটি আবাসিক ভবন নির্মাণকাজের সঙ্গে কারা জড়িত সে ব্যাপারে তাদের নাম পরিচয় জানা কি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্তাব্যক্তিদের জন্য খুব কষ্টের? স্থানীয় কাউন্সিলরই বা কি করছেন? তারও কি কোন দায়িত্ব নেই? স্থানীয় সচেতন নাগরিকগন বলছেন- অনেকটা দায়সারা গোছের কাজ সারতে চাইছে বোধ হয় চসিক কর্তৃপক্ষ।    

তবে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বৃহস্পতিবার রাতে ভোরের কাগজকে বলেন, আমাদের কাছে এখনো কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অবশ্যই পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App