×

সারাদেশ

ঘুষ দিতে অপারগতা, অধ্যক্ষের হাতে জখম সহকারী অধ্যাপক

Icon

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম

ঘুষ দিতে অপারগতা, অধ্যক্ষের হাতে জখম সহকারী অধ্যাপক

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার কয়রায় অবসর ভাতা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা ছাড় করতে অধ্যক্ষের দাবীকৃত ৫০ হাজার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় সহকারী অধ্যাপককে ঘুষি মেরে ঠোঁট ফাটিয়ে রক্তাক্ত করাসহ হেনস্তা করলেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ অদৃশ আদিত্য মন্ডল। 

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায়  উপজেলা সদরের কয়রা কপোতাক্ষ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে অবসরে যাওয়া আহত সহকারী অধ্যাপক দেবদুলাল তরফদার প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন ।

ভুক্তভোগী  প্রত্যক্ষদর্শী  ও উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে কয়রা কপোতাক্ষ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ে সদ্য অবসরে যাওয়া দেবদুলাল তরফদার অবসর জনিত কাগজে সই করার জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অদ্রিশ আদীত্য মন্ডলের অফিস কক্ষে যান। পরে তিনি অবসরজনিত কাগজ ছাড় করতে অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেন। এ সময় অধ্যক্ষ অধ্যাপক দেবদুলালের কাছে কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন। 

এমন দাবির প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী অধ্যাপক দেবদুলাল অধ্যক্ষকে বলেন, আগে বিশ হাজার তো দিয়েছি স্যার এতে আমার ফাইলটি ছাড়িয়ে দেন। এ সময় দেবদুলাল কাকুতি মিনতি করতে করতে অধ্যক্ষ আদিত্য মন্ডলের হাত জড়িয়ে ধরেন। তখন ক্ষিপ্ত আদিত্য মন্ডল দেবদুলালের মুখে সজোরে ঘুষি মেরে ফ্লোরে ফেলে দেন। এর পর তার পরিহিত কোর্টের কলার ধরে টেনে ফ্লোর থেকে তুলে পুনরায় মারধর করেন। এ সময় কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা এসে অধ্যক্ষের হাত থেকে তাকে ছাড়িয়ে নেন। এতে ভুক্তভোগী দেবদুলালের পরিহিত কোট ছিঁড়ে যায় এবং তার মুখমন্ডল জখম হয়।

ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক দেবদুলাল তরফদার বিষয়টি নিয়ে জানান, তিনি  গত ১৫ ডিসেম্বর তারিখে অসবর গ্রহণ করেন। নিয়ম অনুযায়ী তার অবসর জনিত সকল কাগজ পত্র কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতির স্বাক্ষর যুক্ত করে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর কল্যাণ সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাষ্ট বোর্ডে পাঠাতে হয়। সে মোতাবেক তিনি সব কাগজ পত্র প্রস্তুত করে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরের জন্য দীর্ঘদিন যাবত ঘুরতে থাকেন। তার অবসর ভাতার টাকা ছাড় করতে ঘুষ না দিলে তার তা স্বাক্ষর হবে না বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিকে ঘটনাটি জানান। 

এ ব্যাপারে কয়রা কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয় ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ অদৃশ আদিত্য মন্ডল বলেন,  অবসরে যাওয়া সহকারী অধ্যাপক দেবদুলাল তরফদারের কাছে কোন ঘুষের টাকা চাওয়া হয়নি। ওই শিক্ষকের কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা ধার নিয়ে ছিলাম। শেষে দেবদুলালের ওপর হামলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App