সাতক্ষীরায় বিভিন্ন পন্থায় নারীদের অশ্লীল স্থির চিত্র ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মারুফ হোসেন বাপ্পীকে (২৬) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। তিনি জেলার পৌর এলাকার মুনজিতপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের পুত্র।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

গত ১৪ জানুয়ারি এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বুধবার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি সদর থানা পুলিশের অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার রা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়ে জানান, গ্রেপ্তারকৃত বাপ্পী ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে বিবিএ পড়াশোনা করলেও ডা. আরমান হোসেন নিলয় হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নারীদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ধারণ করে পরে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। কখনো অর্থ হাতিয়ে নিতেন, আবার কখনও শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করতেন।

তিনি জানান, সম্প্রতি বাপ্পী সাতক্ষীরা শহরের নারকেলতলা এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীকে হোয়াটসএ্যাপে ম্যাসেজ দিয়ে বিরক্ত করতো। পরে ওই ছাত্রীর বাবা বাপ্পীর বিরুদ্ধে সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তে বাপ্পির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় ।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাপ্পী একাধিক আইডি ও অন্যদের নামে রেজিস্ট্রেশন করা মোবাইল সিম ব্যবহার করে তিনি প্রতারণার স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলেন। পরে তাকে ধরতে পুলিশ ফাঁদ পাতে। একপর্যায়ে প্রতারণার শিকার নারীর মাধ্যমে গত ১৩ জানুয়ারি বাপ্পীকে উত্তর কাটিয়ার ঈদগাহ ময়দানে ডেকে আনা হয়। পুলিশ সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর তার কাছে থাকা দুটি স্মার্ট ফোন জব্দ করে। পরে তা থেকে একাধিক নারীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও জব্দ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৪ জানুয়ারি রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করেন তিনি। বুধবার রিমান্ড শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।