×

সারাদেশ

মানিকগঞ্জে ১৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

Icon

সুরেশ চন্দ্র রায়, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:২১ পিএম

মানিকগঞ্জে ১৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

ছবি: ভোরের কাগজ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের ৩টি সংসদীয় আসনে এমপি প্রার্থী ছিলেন ২০ জন। এদের মধ্যে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাবেক সাংসদ মফিজুল ইসলাম কামালসহ ১৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

গত রবিবার (৭জানুয়ারি) ভোট গ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া যায়।

বিধিমতে, নির্বাচনে কোন প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত বেসরকারি ফলাফলে জানা যায়, মানিকগঞ্জ-১ (শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর) আসনে প্রার্থী ছিলেন ৪জন। এর মধ্যে ২ জনের জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৭ জন। তবে ভোট পড়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৫২২টি। এর ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ১০ হাজার ৩৬১ টি, যা পাননি ২ জন প্রার্থী। এ আসনে ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ ৮৬ হাজার ৯৪১টি ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম রুবেল। তিনি পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৪২ টি ভোট। এছাড়া গণফন্টের মাছ প্রতিকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাজাহান খান পেয়েছেন ১ হাজার ৮৭ টি ভোট এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী মোনায়েম খান পেয়েছেন ৬শ ৩৩ ভোট।

মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। তাদের ৮জনই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৯। এখানে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫২টি। ভোট প্রয়োগের হার ৪১.৭০ ভাগ। প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ১৫ হাজার ৫৮০টি। তবে এখানে ৮জন প্রার্থীর কেউ এই পরিমাণ ভোট পাননি।

এ আসনে ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নৌকা প্রতীকের মমতাজ বেগম। তিনি পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট।

এ আসনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান। তিনি কেটলী প্রতীকে ভোট পেয়েছিলেন ৯ হাজার ৭১১। সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল ঈগল প্রতীকে ৬ হাজার ১২৫ ভোট, সাবেক ফুটবলার দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল মোড়া প্রতীকে ৪ হাজার ৬৩১ ভোট, তরিকত ফেডারেশনের ফুলের মালা প্রতীকের প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ আশিফ ৫শ ৩৬ ভোট, কংগ্রেস পার্টির মো. জাকির হোসেন ডাব প্রতীকে ২শ ৫২ ভোট, সুপ্রিম পার্টির একে নাহিদ একতারা প্রতীকে ১শ ৯২ ভোট, একেএম ইকবাল হোসেন নোঙর প্রতীকে ৮৯ ভোট এবং গামছা প্রতিকের তানভীর হাসান পেয়েছিলেন ১৯ ভোট।

মানিকগঞ্জ-৩ (মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া) আসনে প্রার্থী ছিলেন ৬জন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫৯। মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪১হাজার ৬৫২টি। প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ১১ হাজার ৩৩২।

এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহিদ মালেক ১ লাখ ২৬ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাকি সবাই জামানত হারিয়েছেন। জামানত বাজেয়াপ্তরা হলেন- গণফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক সাংসদ মফিজুল ইসলাম খান কামাল। তার ভোটের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৯১, জাতীয় পার্টির জহিরুল আলম রুবেল ৪ হাজার ৫৮৬ ভোট, গামছা প্রতীকের প্রার্থী এম হাবিবুল্লাহ ১ হাজার ১০ ভোট, সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম আলী খান মজলিশ ৬শ ১৫ ভোট এবং নোঙর প্রতীকের প্রার্থী এম খালেক দেওয়ান ৪শ ৭১ ভোট পেয়েছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App