×

সারাদেশ

সংসদ নির্বাচন

মাত্র ২১ দিনের রাজনীতি, হয়ে গেলেন এমপি!

Icon

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪০ পিএম

মাত্র ২১ দিনের রাজনীতি, হয়ে গেলেন এমপি!

মায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আনন্দ শিপ ইয়ার্ড দেখাশুনা করতেন আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার সাগর। ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্বে। হঠাৎ তার মা মিসেস আফরুজা বারীর হাত ধরে রাজনীতিতে পদার্পণ নাহিদ নিগারের। 

শেষ পর্যন্ত মাত্র ২১ দিনের রাজনৈতিক জীবনের পূজিতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির দুই বারের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে হারিয়ে গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য হয়ে চমকে দিলেন সবাইকে।

এদিকে নিগারের মা মিসেস আফরুজা বারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হন। কিন্তু গত ১৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় নির্দেশে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। মায়ের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হওয়ার কারণে নিগার গত ১৮ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢেঁকি প্রতীকে সংসদ নির্বাচনের মাঠে ভোটের লড়াইয়ে নামেন। 

অন্যদিকে, নাহিদ নিগারে ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করে উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য প্রবাসে যান। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও কানাডার ওয়াটার লু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে ডিগ্রি নেন। পরে আনন্দ গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে নামেন। 

বিষয়টি নিয়ে সদা মিষ্টভাষী নিগার বলেন, আমার নানা আশরাফ আলী, নানী আলতাফুন্নেছা, মামা শহীদ এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ও মা আফরোজা বারীর হাত ধরে ছোট বেলা থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি দেখে আসছি।

নির্বাচন প্রসঙ্গে বিশদভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মা মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করার পর সুন্দরগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যে মুহূর্তে হতাশাবোধ করছিলেন ঠিক সেই সময়টাতে তার উত্তরসূরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমাকে পাওয়ায় তারা তখন বেশ উজ্জীবিত হয়। ফলে স্থানীয় ও সাধারণ মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা পেতে শুরু করি। 

এরমধ্যে গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে আমি রাজনীতির পথে পা বাড়াই। ঠিক ওই দিন থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে আমার যাত্রা শুরু হয়। পরে তফসিল অনুযায়ী মাত্র ২০ দিন সময়ে পুরা উপজেলায় জনসংযোগ ও উঠান বৈঠক শুরু করি। এতেই সাধারণ মানুষ আমার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ঢেঁকি প্রতীকে ৬৬ হাজার ৪৯ ভোটে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করে।

নিগারের পরিবার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী প্রকৌশলী ড. তারিকুল ইসলাম। আর আমার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে আমাদের সংসার। সবশেষে তাকে সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য নির্বাচিত করায় এলাকাবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। 

টাইমলাইন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আরো পড়ুন

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App