×

সারাদেশ

চুক্তি বাতিলের সুপারিশ উপজেলা প্রকৌশলীর

সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

Icon

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:২২ পিএম

সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

ছবি: ভোরের কাগজ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে সড়কের সংস্কার কাজ করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নিম্ন মানের সামগ্রী অপসারণের দুই দফা চিঠি দেয়ার পরে সর্বশেষ চুক্তি বাতিলের সুপারিশ করেছেন উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সড়ক পরিদর্শন করে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় এই সুপারিশ করেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর মির্জাগঞ্জ উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কর্মসূচির আওতায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের পশ্চিম সুবিদখালী গ্রাম ও আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামের পশ্চিম সুবিদখালী বাদঘাট থেকে দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া দাসেরডাঙ্গা গ্রাম পর্যন্ত  ১ কোটি ২৫ লক্ষ ৮০ হাজার ৪০৫ টাকা ব্যয়ে দুটি প্রকল্পে ৩ কিলোমিটার সড়কের মেরামতের কাজ পান কলাপাড়া উপজেলার কাজী এন্টারপ্রাইজ ও পটুয়াখালীর অয়ন এন্টারপ্রাইজ। দুই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় ঠিকাদার মো. রঞ্জু হাওলাদার ক্রয় করে সড়কটির সংস্কারের কাজ করছেন। পুরো অংশের কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। 

এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সড়কটির কাজের মান যাচাই-বাছাই করে ৩১ ডিসেম্বর চুক্তি বাতিলের সুপারিশ করে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে চিঠি পাঠান উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়। এর আগে নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণের জন্য ঠিকাদারকে ৫ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় দফায় ১২ ডিসেম্বর চিঠি পাঠানো হয়। দুই দফা চিঠি পাঠানোর পরেও চুক্তি অনুযায়ী মালামাল ব্যবহার না করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় চুক্তি বাতিলের সুপারিশ করে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘদিন এই রাস্তাটি সংস্কার হচ্ছিল না। তাই ভোগান্তি নিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল করছে। এখন কাজ শুরু হচ্ছে নিম্নমানের ইট দিয়ে। নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ শুরু করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।

নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে ক্রয় করা ঠিকাদার মো. রঞ্জু হাওলাদারের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, সেই মালামাল অপসারণ করে কাজ করেছি। চুক্তি বাতিলের সুপারিশের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা তাদের ব্যাপার। সরেজমিনে গিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী এখনও দেখা গেছে বলায় তিনি বলেন, যা আছে সবই রাস্তায় আমি বাড়ি নেইনি। 

মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর বাদশা বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়ার পরে সরেজমিনে গিয়ে দেখে তা অপসারণ করার জন্য দুই দফা চিঠি দেয়া হয়েছে। তারপরেও শর্ত মোতাবেক কাজ না হওয়ায়, চুক্তি বাতিলের জন্য জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।


সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App