×

সারাদেশ

তেঁতুলিয়ায় বিলীন বিদ্যালয় ভবন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২০, ১০:২৭ এএম

তেঁতুলিয়ায় বিলীন বিদ্যালয় ভবন
জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় মাত্র ৩ বছর আগে বিদ্যালয় ভবনটি নির্মাণ করা হয়। তখন নদী ছিল বিদ্যালয় থেকে অনেক দূরে। আশপাশে ছিল অসংখ্য বসতবাড়ি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে তেঁতুলিয়া নদীতে তলিয়ে যায় বিদ্যালয় ভবনটি। রাতের মধ্যেই হয়তো পুরোটাই তেঁতুলিয়ার গর্ভে হারিয়ে যাবে। নদীভাঙনে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের চরবগী চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গতকাল তলিয়ে যায়। করোনার কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন মোল্লা জানান, গত ১ বছরে আশপাশে থাকা বসতবাড়িগুলো আগেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে বালুর বস্তা ফেলার উদ্যোগ নিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। গত বুধবার দুপুর থেকে বিদ্যালয় ভবন সংলগ্ন ভাঙন শুরু হয়। বিকালের মধ্যে ভবনটি কাঁত হয়ে পড়ে যায়। চেয়ারম্যান জানান, ভবনটি যে রক্ষা করা যাবে না এটা বুঝতে পেরে ভবনটি ভেঙে নেয়ার জন্য দরপত্রও সম্পন্ন হয়েছিল। চরবগী চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উম্মে কুলসুম বলেন, বিদ্যালয় ভবনটি চলতি বছর ভাঙনের কবলে পড়ে। এটি প্রতিরোধে স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথ জিওব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেন। কিন্তু ভাঙনের তীব্রতা দেখে গত সপ্তাহে বিদ্যালয়ের মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পাশেই টিনসেড বিদ্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এ বিদ্যালয়ে ৯২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক জানান। মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের ৩ তলা ভবন নির্মিত হয়েছিল ২০১৭ সালে। গতকাল ভবনটি নদীতে বিলীন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভবন নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় শিশুদের লেখাপাড়ায় যাতে বিঘ্ন না ঘটে তা নিয়ে বৃহস্পতিবার উপজেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, চরবগী চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আগে টিনশেড ভবনে পরিচালিত হতো। ২০১৭ সালে পাকা ৩ তলা ভবন হওয়ার পর গ্রামবাসী খুশি হয়েছিল। তখন বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে ১০ কিলোমিটার লম্বা সড়কের ২ পাশে ছিল অসংখ্য বসতবাড়ি। এখন সেখানে তেঁতুলিয়া নদীর অথৈ পানি। শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন মোল্লা জানান, গত ৩ বছরে এ ইউনিয়নে ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App