×

সারাদেশ

হাসপাতালে বেড না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২০, ০৪:১৯ পিএম

হাসপাতালে বেড না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা

ছবি: প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বাঁধ ও উঁচুস্থানে আশ্রয় নেওয়া বানভাসি পরিবার গুলো ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ। হাসপাতালে বেড সংকট থাকায় অনেকে আবার বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে।

উপজেলা হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, গত পহেলা জুলাই থেকে উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। তখন থেকে বন্যায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের শিশু ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত গত এক সপ্তাহ থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক পানিবাহিত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভর্তি হয়েছে চাক্তাবাড়ি গ্রামের এনামুল হকের ছেলে আল আমিন (১৫ মাস), কোনাচীপাড়া গ্রামের নবীউলের ছেলে সিফাত (১৮ মাস), পুরারচর গ্রামের রফিকুলের ছেলে খায়রুল ইসলাম (৪) বছর, মির্জাপাড়া গ্রামের আশরাফুলের ছেলে মিম আক্তার (১) বছর, নতুন বন্দর গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে আব্দুল্লাহ (৪) বছর, কাউয়ারচর গ্রামের শফিকুলের ছেলে রিদুয়ান (৭ মাস) সহ আরো অনেকেই। বর্তমানে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে এসব রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকগণ।

রৌমারী উপ-সহকারি প্রকৌশলী শেখবর আলী জানান, উপজেলার বন্যার সময় ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে ২৩ টি নলকুপ স্থাপন হয়েছে। তাছাড়া পানি বিশুদ্ধ করণ ৩০ হাজার ট্যাবলেট ও ৭৫ কেজি ব্লিচিং পাউডার বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা. মোমেনুল ইসলাম বলেন, বন্যাজনিত কারণে পানি বাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। গত সপ্তাহ থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এ সময় শিশুরাই সাধারণত সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। বন্যা কবলিত এলাকায় শুরু থেকেই মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। তারা গ্রামেগঞ্জে খাবার স্যালাইনসহ সব প্রকার ঔষধ বিতরণ করছে। এছাড়াও আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঔষধ মজুদ রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App