×

সারাদেশ

শ্রীনগরে ৬০ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দী ১০ হাজার পরিবার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২০, ০৩:৫০ পিএম

শ্রীনগরে ৬০ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দী ১০ হাজার পরিবার
শ্রীনগরে ৬০ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দী ১০ হাজার পরিবার
শ্রীনগরে বন্যায় ৬০ টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর মতো পদ্মা নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছ। ভারত থেকে প্রচণ্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে বলে নদীর পানি প্রতিমূহুর্তে বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহীত হচ্ছে। ফলে পানি নদীর দু’কুল উপচে বন্যার সৃষ্টি করেছে। জানাগেছে, পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে এরই মধ্যে শ্রীনগর, ভাগ্যকুল, বাঘড়া, রাঢ়ীখাল, শ্যামসিদ্ধি, কোলাপাড়া, বিরতারা,কুকুটিয়া ইউনিয়াসহ প্রায় ৬০ টি গ্রামের ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পরেছে। এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নও ইতিমধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। বন্যার পানিতে গ্রাম গুলোর অধিকাংশ কাঁচা ও পাকা সড়ক গুলো তলিয়ে গেছে। আর এসব সড়কের কোথাও হাটুপর্যন্ত,আবার কোথাও তার চেয়ে বেশী পানি রয়েছে। শত শত বাড়ি পানি ছুই ছুই অবস্থা। আবার কোথাও কোথাও অনেকের ঘরবাড়ি তলিয়েও গেছে। বন্যার পানি থেকে বাচঁতে কেউ কেউ নিজের বাড়িতে উচুমাচা করে, আবার কেউ নিকট আত্বীয়-স্বজনের বাড়িতে ও আশ্রয়ন প্রকল্পে আশ্রয় নিয়েছেন। কোলাপাড়া ইউনিয়নের নূরু ইসলাম বলেন, তার ঘরে পানি ওঠার কারনে, সে পাশ্ববর্তি এক বাড়ির বিল্ডিংয়ের ছাদে ত্রিপাল দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। এছারা অনেকের ধান-পাট, মাছের ঘের, গরুরখামার, মুরগির ফার্মসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী দোকান পানিতে তলিয়ে গেছে। হাঁস-মুরগীসহ গবাদি পশু রাখা ও এদের খাদ্য নিয়ে খুব দুশ্চীন্তায় রয়েছেন অনেকে। পানির প্রবল চাপে ঢাকা-দোহার সড়কের কুশারীপাড়া,কয়কীর্ত্তণসহ কয়েকটি স্থানে পানির প্রবল স্রোতে সড়কের ক্ষতিসহ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ঢাকা-দোহার সড়কের আল-আমিন বাজার নামক স্থানে সড়ক ভেঙ্গে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ঢাকা-দোহার সড়কের বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানি ওঠার কারণে ঝুকি নিয়ে চলছে ছোট ছোট যানবাহন। বন্যায় পানিবন্দী একাধিক ভূক্তভোগী জানায়, ঢাকা-দোহার সড়কে একসময় বেশ কয়েকটি সেতু ছিল। আর সেতু গুলার নিচ দিয়ে অনায়াসে পানি প্রবাহিত হতে পারতো। বর্তমানে একটিও সেতু নেই। এছারা প্রায় ১০/১২টি খাল ছিল। এ খাল গুলো দিয়ে পদ্মা নদীর পানি আড়িয়ালবিলে প্রবাহিত হত। কিন্ত কতিপয় স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এসকল খাল গুলো দখল নিয়ে ভরাট করে ফেলেছে। ফলে পানি সড়ক ভেঙ্গে উপচে পরে গ্রাম গুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী একাধিক ভূক্তভোগীরা জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ত্রানতহবিল হতে উপজেলা প্রশাসন কিছু সহযোগীতা করলেও তা ছিল খুবই অপ্রতুল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার বলেন, ৬ টি ইউনিয়নের জন্য এ পর্যন্ত ১২ টি আশ্রয়ন প্রকল্প খোলা হয়েছে। এছাড়া ২০ মেট্রিকটন চাল ও ৫’শত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে। খুব শিঘ্রই আরো ১০ মেট্রিকটন চাল ও ২’শত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার দেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App