×

সারাদেশ

মিনু মিয়ার ঘুড়ির চাহিদা বেড়েই চলছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২০, ০৪:৫১ পিএম

মিনু মিয়ার ঘুড়ির চাহিদা বেড়েই চলছে

ঘুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর মিনু মিয়া। ছবি: প্রতিনিধি

সারা বিশ্বই করোনা মহামারীতে নিস্তব্ধ। গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষগুলোর আয় রোজগার পথ প্রায় বন্ধ। হিমশিম খাচ্ছে অসহায় দিন মজুর পরিবারগুলো। তারা খুঁজছেন নতুন ভাবে বেঁচে থাকার উপায়। তেমনিই জীবিকার নতুন পথ খুঁজে নিয়েছেন অসহায় দিন মজুর মিনু মিয়া (৬৫)।

তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার কুলিয়াটি পশ্চিম পাড়া গ্রামে।। তিনি নানান রকমের ঘুড়ি তৈরি করেন। তা বিক্রি করে চালাচ্ছেন সংসার। তার ঘুড়ি কিনতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে ঘুড়ি প্রেমীরা। ক্রমেই বেড়ে চলছে তার ঘুড়ির চাহিদা।

ঘর বন্দী মানুষের এক মাত্র বিনোদনের উৎস হয়ে ওঠেছে রঙ বেরঙের ঘুড়ি উড়ানো। এখন দিনের ন্যায় রাতের আকাশেও ঘুড়ি উড়াতে দেখা যাচ্ছে। নানা আলোক ছটায় নির্মিত এই ঘুড়িগুলো দেখলে খুব ভাল লাগে। এই ঘুড়িগুলো রাতের আকাশে তারার মত দেখায়।

তার সংসার চলছে ঘুড়ি বিক্রি করে। এ পর্যন্ত তিনি ছোট বড় প্রায় ৪০০টি ঘুড়ি তৈরি করেছেন। তার তৈরি একটি ঘুড়ির দাম ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা। প্রতিদিন ৪-৫ টা ঘুড়ি তৈরি করতে পারেন। এসব ঘুড়ি তৈরিতে বাঁশ, কাগজ, পলিথিন ইত্যাদি ব্যবহার করেন। এমনকি রাতে উড়ানোর জন্যে ঘুড়িতে মোবাইলের ব্যাটারি দিয়ে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়।

গোবিন্দশ্রী গ্রাম থেকে আসা শাহ আলম, বালালী থেকে আসা আইনুল হক নামে ক্রেতারা জানান, মিনু মিয়া ঘুড়ি তৈরি করে অনেক নাম করেছেন। লোকজনের কাছ থেকে নাম শোনে আমরাও ঘুড়ি কিনে নিতে এসেছি। আমরা তিনটি ঘুড়ি কিনেছি ১৫০০ টাকা দিয়ে।

ঘুড়ি বিক্রেতা মিনু মিয়া জানান, করোনার কারণে আয় রোজগারের সব পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ঘর থেকে বের হতে পারতাম না। কোনো কাজ ছিল না। কীভাবে সংসার চালাবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। হঠ্যাৎ দেখি মানুষ ঘুড়ি তৈরি করে আকাশে উড়াচ্ছে। আমিও ঘুড়ি তৈরি করতে শুরু করি। আমার ঘুড়ির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এখন আমাকে দিনে রাতে ঘুড়ি বানাতে হয়। ঘুড়ি বিক্রি করে আমার সংসার ভালোই চলছে। এই কুটিরশিল্প প্রসারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এগিয়ে আসলে আমরা উপকৃত হব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App