সরকারি গাছ কাটায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২০, ০৮:৪৬ পিএম
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক মন্ডল
চর শৌলমারী সোনাপুর ঈদগাহর পাশে সরকারি রাস্তায় কাটা গাছের গোড়ালি। ছবি: প্রতিনিধি
চর শৌলমারী সোনাপুর ঈদগাহর পাশে সরকারি রাস্তায় কাটা গাছের অংশ। ছবি: প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগে চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক মন্ডলের বিরুদ্ধে ১৭ জুন (বুধবার) রৌমারী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চরশৌলমারী টু সোনাপুর রাস্তার ঈদগাহ মাঠের পাশে সরকারি রাস্তার ১০৯টি গাছ বন বিভাগের বনায়নকৃত গাছ কাটার অভিযোগে চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে এ মামালা করা হয়। গত মে মাসের ১২-২৫ মধ্যে ওই গাছগুলো কাটা হয়। চরশৌলমারী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন, চরশৌলমারী বাজারের মামুদ আলী সরকারের ছেলে সেলিম আহম্মেদ ওই রাস্তার ১০৯টি গাছ কলেজপাড়া গ্রামের বাবুল হোসেন ব্যাপারী কাছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রয় করেন।
বাবুল হোসেন ব্যাপারী বলেন, সেলিম আহম্মেদ চেয়ারম্যানের অনুমোদনের কাগজ দেখিয়ে আমার কাছে গাছগুলো বিক্রয় করেছিল। সেলিম আহাম্মেদ বলেন, রাস্তার দুই পাশের জমি আমাদের গাছ আমরা লাগাইছি, আমাদের গাছ আমি বিক্রি করেছি।
চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক মন্ডল বলেন, গাছ কাটার জন্য আমি কোন অনুমোদন দেইনি, রাজনৈতিক চাপে পড়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে।
রৌমারী উপজেলা বন কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, সরকারি রাস্তার গাছ অনুমোদন ছাড়াই কাটার অপরাধে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
রৌমারী নিবার্হী অফিসার আল ইমরান বলেন, বন বিভাগে অনুমোদন ছাড়া সরকারী রাস্তার গাছ কাটার অপরাধে চরশৌলমারী ইউপি চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।