×

সারাদেশ

দক্ষিণের নদনদীতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে জোয়ার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২০, ০২:৫০ পিএম

দক্ষিণের নদনদীতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে জোয়ার

ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে ঝোড়ো আবহাওয়া বিরাজ করছে। বুধবার (২০ মে) সকালে দক্ষিণাঞ্চলে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর দমকা হাওয়া বইছে। মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর মহা বিপদসংকেত জারি করা হয়েছে।

ঝড়ের প্রভাবে নদ-নদীতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে জোয়ার প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনার তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়েছে কয়েকটি গ্রামে। বেশ কয়েকটি স্থানের বাঁধ ঝুঁকিতে থাকায় ওসব এলাকার লোকজন আতঙ্কে আছেন।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের নদী-নদী পায়রা, বিষখালী, বলেশ্বর নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের ৩-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ার বইছে। জোয়ারের তোড়ে বরগুনা সদর উপজেলার মাইঠা এলাকার বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে আশপাশের গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। সকালে পায়রা নদীর অধিক উচ্চতার জোয়ারে এই বাঁধের অন্তত ২০ ফুট অংশ জুড়ে ভেঙে বিলীন হয়। এখানে নতুন একটি স্লুইস নির্মাণ করা হচ্ছে। এই স্লুইসের দুপাশের বাঁধ ভেঙে যায়। এরপর পানি ঢুকতে থাকলে এসব গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়।

মাইঠা এলাকার বাসিন্দা একজন বলেন, পানি ঢুকে পড়ায় এলাকার রবি ফসল খেত এরই মধ্যে প্লাবিত হয়ে গেছে। এখনো পানি ঢুকছে। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার ঘরদোরে পানি ঢুকে পড়বে। এতে এলাকার কয়েক হাজার পরিবারকে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে পড়তে হবে।

হেলার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া-জয়ালভাঙা এলাকার সাড়ে তিন কিলোমিটার বাঁধের এক কিলোমিটার নাজুক অবস্থায় থাকায় সেখানের বাসিন্দারাও আতঙ্কে আছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পায়রা নদীতে এরই মধ্যে তিন থেকে চার ফুট পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেড়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা বাতাস বইছে। যে অবস্থা তাতে পানি আরও বাড়বে।

পাউবোর বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আলম বলেন, এসব এলাকায় আমাদের প্রকৌশলী ও কারিগরি দল কাজ করছে। আরও কোথায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ আছে সেগুলোও আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বরগুনা কার্যালয়ের পানি পরিমাপক মাহতাব হোসেন বলেন, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত পায়রা, বিষখালী, বলেশ্বর নদ-নদীতে বুধবার সকালে পুরো জোয়ার আসার আগেই বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

বরিশাল কার্যালয়ের পানি পরিমাপক আবদুর রহমান বলেন, কীর্তনখোলা বুধবার ১২টায় পুরো জোয়ার আসার আগেই স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বরিশাল আবহাওয়াবিদ আনিসুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের নদ-নদী ও নিম্নাঞ্চল ৮ থেকে ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এ জন্য এসব এলাকায় বসবাসকারীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App