×

সারাদেশ

বরিশালে বিপাকে তরমুজ চাষিরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২০, ১১:৩৫ এএম

দেশের তরমুজের চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ হয় বরিশাল অঞ্চল থেকে। ভালো স্বাদের পাশাপাশি আকারে বড় হওয়ায় এখানকার তরমুজের চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। এবার আবহাওয়ার পাশাপাশি সব কিছু অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও তা স্থায়ী হয়নি। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এ অঞ্চলের কয়েক কোটি টাকার তরমুজ।

সূত্রমতে, করোনা প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান লকডাউনের কারণে যানবাহন বন্ধ থাকায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে তরমুজ পাঠাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। নদীপথে ট্রলার ও সড়কপথে ট্রাকে সীমিতভাবে তরমুজ পাঠানো শুরু হলেও ভাড়া গুনতে হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি।

বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের তরমুজচাষি আমীর আলী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে জমির তরমুজ এখনো বাজারে বিক্রি করতে পারিনি। ফলে খুবই লোকসানের মধ্যে পড়েছি।

সুমন বেপারি নামের এক আড়ত মালিক জানান, আগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরমুজ নিতে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসতেন। এবার করোনার কারণে তারা আসতে পারেননি। ফলে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে না। চলমান করোনা ও রমজানের কারণে চলতি মৌসুমে তরমুজচাষিরাও শেষ, আমরাও শেষ।

মিন্টু গাজী নামের আরেক আড়তদার জানান, আগে যে তরমুজ আমরা ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করেছি, এবার তা ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। জানা যায়, চলতি মৌসুমে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় প্রায় ২৪ হাজার ৬৮৮ হেক্টর জমিতে তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। সাধারণত বছরের এ সময়টাতে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে জমজমাট থাকে বরিশালের বিভিন্ন আড়ত। তবে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এবার ক্রেতা নেই বললেই চলে।

বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আফতাব উদ্দিন বলেন, বরিশাল অঞ্চলে এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনার কারণে প্রথমদিকে বিক্রিতে একটু বাধা সৃষ্টি হলেও বর্তমানে তরমুজ ভালো বিক্রি হচ্ছে। বাজারজাত করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। ইতোমধ্যে ভোলার ৮৫ ভাগ, পটুয়াখালীর ৭৫ ভাগ ও বরগুনার ৬০ ভাগ তরমুজ বিক্রি হয়ে গেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App