×

সারাদেশ

পাহাড়পুর সংস্কারে গচ্চা ৪ কোটি টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:৪৩ পিএম

পাহাড়পুর সংস্কারে গচ্চা ৪ কোটি টাকা

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার

বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার। বৌদ্ধবিহারটি সংস্কারের মাধ্যমে পুরনো আদলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে বিহার প্রাঙ্গণ। বিহারের গায়ে লাগানো হয়েছে পুরনো ইট আর চুন-সুরকির কংক্রিট এবং পোড়া মাটির ফলক। কিন্তু সংস্কারের তিন বছরের মাথায় পোড়া মাটির ফলক খসে পড়েছে। বিহার প্রাঙ্গণে প্রবেশের সময় কাঠের ব্রিজ ও কেন্দ্রীয় মন্দিরে ওঠার একমাত্র কাঠের সিঁড়িটি দুই মাস আগে ভেঙে গেছে। এ অবস্থায় এখানে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা কেন্দ্রীয় মন্দিরে উঠতে পারছেন না।

জানা যায়, ২০১৬ সালে সাউথ এশিয়া ট্যুরিজম ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে দুই ভাগে মোট ১৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ করা হয়। এর মধ্যে কাঠামোগত উন্নয়ন কাজ আট কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং মূল বৌদ্ধবিহারের সংস্কারে চার কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়।

কাজটি করেছে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস ডেইলি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। বৌদ্ধবিহার সংস্কারে চার কোটি ৫০ লাখ টাকার মধ্যে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মূল বিহারের গায়ে জন্মানো ঘাস তুলে চুন-সুরকি দিয়ে নতুন করে গাঁথুনি, বন্ধ হয়ে যাওয়া ক‚প পুনর্খনন ও ক‚পের চারদিকে রেলিং দিয়ে ঘিরে দেয়া।

কিন্তু সংস্কারের তিন বছরের মাথায় নষ্ট হয়ে গেছে পোড়া মাটির ফলক, কাঠের ব্রিজ ও কাঠের সিঁড়ি। মন্দিরের দেয়ালে পুরনো পোড়া মাটির ফলক লাগানো হয়েছিল। সেগুলো এখন বেশির ভাগই নেই। যেগুলো আছে সেগুলোও ধীরে ধীরে খসে পড়ছে ও ভেঙে যাচ্ছে। দর্শনার্থীদের টিকেট কেটে প্রবেশের পর মন্দিরে যেতে হলে মন্দিরের পূর্ব দিক থেকে প্রথমে কাঠের ব্রিজ পার হতে হয়। ব্রিজের পাটাতনের কয়েকটি কাঠ ভেঙে গেছে। এতে দর্শনার্থীদের সাবধানে এটি পারাপার হতে হয়। কেন্দ্রীয় মন্দিরের উত্তর পাশে রয়েছে একমাত্র প্রধান কাঠের সিঁড়ি।

মন্দিরের উপরে উঠতে হলে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। কিন্তু সিঁড়ির কিছু অংশ ভাঙা থাকায় গত দুমাস আগে বাঁশের বেড়া দিয়ে সিঁড়ির মুখ বন্ধ রাখা হয়। এর এক পাশে একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। দর্শনার্থীদের অভিযোগ, প্রতিটি জিনিসের একটি সময়সীমা রয়েছে। যেহেতু সিঁড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য এটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

পাহাড়পুর জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান আবু সাইদ ইনাম তানভিরুল বলেন, মহাপরিচালককে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তার নির্দেশনায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে সিঁড়ি দিয়ে চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। যাতে দর্শনার্থীরা উপরে ওঠা থেকে বিরত থাকেন কিন্তু তার পরও সিঁড়ির পাশ দিয়ে তারা উপরে ওঠেন। তিনি বলেন, চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী এক মাস আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন। সংস্কার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App