×

সারাদেশ

হাড়কাঁপানো শীতে কাঁপছে দেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৫১ এএম

হাড়কাঁপানো শীতে সারাদেশ কাহিল। বাদ যায়নি রাজধানী ঢাকাও। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন দেশের প্রায় অধিকাংশ অঞ্চল। একদিকে দেশজুড়ে প্রচণ্ড শীত, অন্যদিকে কনকনে বাতাসে শীতের তীব্রতা বহু গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় ঢাকার তাপমাত্রা আরো ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমবে। আর ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাবে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল।

শীতের তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চল। ধীরে ধীরে কমছে তাপমাত্রা। সঙ্গে কনকনে হিমেল হাওয়া। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে চারপাশ। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এসে পুরো উত্তরাঞ্চলজুড়েই এখন শীতের দাপট। দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পৌষের শুরুতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে আছে ঘন কুয়াশা। রাজধানীতে সূর্যের দেখা মিলছে না বললেই চলে। তাপমাত্রা কমেছে তিন থেকে সাত ডিগ্রি পর্যন্ত। এমন অবস্থা চলবে আরো দুই দিন। আসতে পারে নিম্নচাপ। এ ছাড়া ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ দেখা দিতে পারে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। তবে স্থান ভেদে ২১ ও ২২ ডিসেম্বরের দিকে ঠাণ্ডা অনুভূতি কমে আসবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীসহ সারাদেশে সকালটা ছিল কুয়াশার চাদরে মোড়া। সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। রাত থেকেই বইছে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। রাজধানীবাসী এই শীতে যতটা কাতর, তার চেয়েও অনেক বেশি শীতে জর্জর দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। কারণটা শীতের সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। রাজধানীর তুলনায় এসব এলাকায় তাপমাত্রা কমেছে চার থেকে সাত ডিগ্রি পর্যন্ত। এই তাপমাত্রা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আরো দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমে ৬-৭ ডিগ্রি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস জানান, আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই তাপমাত্রা কমতে থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন অনেক এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তিনি জানান, মধ্যরাত থেকে দেশের অনেক অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরো ছয় জেলার তাপমাত্রা সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

গতকাল রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৫, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৮ দশমিক ৮, নওগাঁর বদলগাছিতে ৯ দশমিক ৫, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৯ দশমিক ৮ এবং যশোরে ৯ দশমিক ২। ঢাকায়ও কমেছে তাপমাত্রা। রাজধানীতে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩, যা গত বুধবার ছিল ১৬ দশমিক ২, এ ছাড়া চট্টগ্রামে ১৬, সিলেট ১৫ দশমিক ৮, রংপুরে ১১, খুলনায় ১২ এবং বরিশালে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। গত দুদিন ধরে রংপুর অঞ্চলে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের অভাবি মানুষের শীত নিবারণে অগ্নিকুণ্ডই একমাত্র ভরসা। তাদের উপযুক্ত শীত নিবারণের পোশাক না থাকায় অনেক স্থানে সারা রাত আগুন জ্বেলে বা বস্তা-চট পেঁচিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

এদিকে শীত পড়ায় বেচাকেনা বেড়েছে শীতবস্ত্রের। রাজধানীর গুলিস্তান, রাজধানী মার্কেটসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দোকান, ফুটপাতেও বেচাকেনার ভিড় দেখা গেছে। সারাদেশেই শীতবস্ত্রের বিক্রি বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App