×

সারাদেশ

অবৈধ ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ প্রশাসন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৩৩ পিএম

অবৈধ ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ প্রশাসন
অবৈধ ইটভাটা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ প্রশাসন

শরীয়তপুরে অবৈধ ইটভাটাগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না প্রশাসন। দিনেরপর দিন কোনো ধরণের বৈধতা ছাড়াই চলছে বেশ কয়েকটি ইটভাটা। সম্প্রতি অনুমোদনহীন ৮টি ইটভাটায় ভ্রাম্যামাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়েও কার্যক্রম বন্ধ করা যায়নি ইটভাটাগুলোর। এতে স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্নে জন্ম নিয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে জাজিরা উপজেলায় মেসার্স যমুনা ব্রিক্স, মেসার্স কীর্তিনাশা ব্রিক্স, মেসার্স জে আই বি ব্রিকস, ডামুড্যা উপজেলায় হাওলাদার ব্রিক ফিল্ড, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় আরবিএম ব্রিক ফিল্ড, মেসার্স নিউ বিসমিল্লাহ ব্রিকস, নড়িয়া উপজেলায় ঢালী ব্রিক ফিল্ড ও শরীযতপুর সদর উপজেলার মদিনা ব্রিক্স ইট তৈরি ও বিক্রয় করে আসছিল। সম্প্রতি উচ্চ আদালত ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এসব ইটভাটায় অভিযান চালান।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ডসহ ভাটাগুলোর কিছু অংশ ভেঙে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত থেকে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এ নির্দেশ উপেক্ষা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পরপরই ইটভাটাগুলোতে আবারো পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোনো কোনো ইটভাটায় ভাঙা অংশ মেরামতের কাজ চলছে। আবার যে সকল ভাটা ভাঙা হয়নি। বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত সেগুলো পুরো দমে ইট বানানো ও পোড়ানোর কাজ চলছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্নের জম্ম দিয়েছে।

মেসার্স কির্তীনাশা ইটভাটার শ্রমিক তানভির, হেলাল হোসেন, খোকন জানান, প্রশাসনের লোকজন আসছিল। কাগজপত্রে কি যেন সমস্য ছিল। তারা দেখে গেছে। পরে সেগুলো ঠিক হয়ে গেছে। তাই আমরা ইট বানানো ও পোড়ানোর কাজ করছি। মদিনা ব্রিকসের শ্রমিকরা নামপ্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ম্যাজিস্ট্রে এসে জিকঝাক চুল্লির অনেকখানি ভেঙে দিয়েছে। এখন মেরামত করতেছি। মালিকরা এমপি সাহেব ও মন্ত্রির কাছে গেছেন। যদি তারা কোনো সুযোগ দেয়- তাহলে ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করবো।

ঢালী ব্রিক ফিল্ডের পরিচালক জানান, আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্রের জন্য ৪ মাস আগে আবেদন করেছি। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর আমাদের ছাড়পত্র ইস্যু করেনি। আমাদের টাকা জমার রশিদও রয়েছে। আমাদের কী অপরাধ? হঠাৎ করে প্রশাসন যে কাজ করেছে এটা আমাদের ওপর জুলুম। আমরা চেষ্টা করছি অল্প সময়ের মধ্যে কাগজপত্র হাতে পাব। এখন যদি ভাটাটা বন্ধ করে দেয় তাহলে আমাদের পথে না ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

কীর্তিনাশা ব্রিক ফিল্ড লিমিটেডের মালিক বলেন, আমাদের কাগজপত্র ঠিক আছে। অভিযানের তিনদিন আগে ডিসি অফিসে আমরা কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু তা ভাটায় ছিল না। পরে আমরা উপজেলাতেও কাগজপত্র দিয়ে এসেছি। আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তাই ভাটার কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে।

শরীযতপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলেন, উচ্চ আদালত ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। বৈধতা না পাওয়া পর্যন্ত তারা আর ভাটা চালু করবেন না মর্মে মুছলেকা দিয়েছে। এরপর কোন ভাটা চালু হয়েছে আমার জানা নেই। যদি কেউ আইন অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App