×

সারাদেশ

বিজয় দিবসের চেয়েও বড় বার্ষিক পরীক্ষা!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:০৪ পিএম

বিজয় দিবসের চেয়েও বড় বার্ষিক পরীক্ষা!
বিজয় দিবসের চেয়েও বড় বার্ষিক পরীক্ষা!

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানানো বাদ রেখে মহান বিজয় দিবসে সরকারি ছুটির দিনে শিক্ষার্থীদের বসতে হয়েছে বার্ষিক পরীক্ষায়। এতে উঠেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক আর এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের রামপুরার ইছহাক একাডেমিতে এমন বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে।

জনৈক বিএনপি নেতা পরিচালিত ঐ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ, সপ্তম আর নমব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চলমান বার্ষিক পরীক্ষার অংশ হিসেবে ‘আইসিটি’ বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং ক্লাসও করানো হয়েয়েছে।

এলাকাবাসী বলছেন, গোটা জাতি যখন তাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ করছে, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে সচেতন করতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ সেখানে এমন কাণ্ড সত্যিই আপত্তিকর। তারা বিজয় দিবসের কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন না করে শিক্ষার্থীদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করেছেন। এটা ধৃষ্টতার শামিল।

বিজয় দিবসের সকালে স্থানীয় সাংবাদিকরা অভিযোগ পান, অলংকারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মোজাহীদ পরিচালিত ইছহাক একাডেমিতে বিজয় দিবস পালন করা হচ্ছে না। তার পরিবর্তে চলমান বার্ষিক পরীক্ষার ‘আইসিটি’ বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকরা সরজমিন ঘটনাস্থলে অভিযোগের সত্যতা পান।

তারা দেখতে পান, ইছহাক একাডেমিতে বিজয় দিবসের কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন না করে বরং প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ, সপ্তম ও নমম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চলমান বার্ষিক পরীক্ষার ‘আইসিটি’ বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি একটি শ্রেণিকক্ষে করানো হচ্ছে কোচিং ক্লাসও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলে, প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও শিক্ষকরা যদি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান পালনের বদলে পরীক্ষা নেন তাতে আমাদের কী করার আছে? আমরা বাধ্য হয়েই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক আখতার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদের খুব খারাপ লাগছে।

ভুল স্বীকার করে ইছহাক একাডেমির প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস আলী বলেন, আমাদের ভুল হয়ে গেছে। এটা করা ঠিক হয়নি। আগামীতে এমনটি আর হবে না। তবে একাডেমির পরিচালক ও অলংকারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মোজাহীদ বলেন, পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী আজ (১৬ ডিসেম্বর) কোনো পরীক্ষা ছিল না। এ পরীক্ষা ১৭ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল। তিনি শিক্ষকদের ওপর দোষ চাপিয়ে বলেন, শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জের ধরে তারা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করার জন্যই বিজয় দিবসের দিন পরীক্ষা নিয়েছেন।

বিশ্বনাথ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর কান্তি দেব বলেন, বিজয় দিবসের দিন পাঠদান কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি জানার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App