×

সারাদেশ

স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীসভায় হামলা, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২৯ পিএম

স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীসভায় হামলা, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের নির্বাচনী পথসভায় নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের ছেলের নেতৃত্বে হেলমেট বাহিনীর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় ৫ রাউন্ড গুলি ও ৫ টি হাতবোমা ও একটি হকিস্টিক উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ঠনারপাড় গ্রামে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে ও চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের বসতঘর ভাঙচুর করা হয়।

জানা গেছে, স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের নিয়মিত প্রচারণার অংশ হিসেবে ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ঠনারপাড় গ্রামে সমর্থকরা পথসভায় যোগ দেয়। এসময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছোট ছেলে সাইফুল আলম দিপুর নেতৃত্বে একদল সংবদ্ধ হেলমেট বাহিনী অস্ত্র সশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান।

তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন প্রচারণার জন্য পথসভায় জড়ো হলে এমপির ছেলের নেতৃত্বে হেলমেট বাহিনী এসে অতর্কিত গুলি চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ করতে করতে আমার বাড়িতে এসেও হামলা চালায় এবং ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান মানিক জানান, নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের হেলমেট বাহিনীর লোকজন এমপির ছেলে দিপুর নেতৃত্বে নিয়মিত আমাদের লোকজনকে নির্বাচনী সভায় এসে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি চালায়। এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। আজকে এমপির ছেলে দিপুর নেতৃত্বে হেলমেট বাহিনীর ৫০-৬০ জন লোকজন অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আমার নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা চালায়। আমার লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি করে। নির্বাচনকে বানচাল করতে এবং ভোটারদের কেন্দ্রে না আসতে তারা এ হামলা চালিয়েছে। প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি নিজেও এখন আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো.আসাদুজ্জামান জানান, গুলি ও হামলার খবর শুনেছি ইতোমধ্যেই আমাদের পুলিশ গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে। কারা এ হামলা করেছে সে বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন ও বহিরাগতদের অনুপ্রবেশের বিষয় জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা ও ফেনী জেলার বর্ডার অঞ্চল হওয়ার কারণে এখানে অবৈধ অস্ত্র ঢুকতে পারে। আমরা সে বিষয় অভিযান চালাবো। সন্ত্রাসী যেই হোক কাউকে ছাড় দিব না।

ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটারদের পিটিয়ে মেরে ফেলবো এমন বক্তব্যের পরপরই স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর এমন হামলার প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, ভিডিও ক্লিপটি দেখে এ হামলার সাথে মিলিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। সন্ত্রাসী যেই হোক ছাড় দেয়া হবে না। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App