×

সারাদেশ

নির্বাচনে যাচ্ছেন না এমপি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৮ পিএম

নির্বাচনে যাচ্ছেন না এমপি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ

এমপি এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। ছবি: ভোরের কাগজ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা না পেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও সাতক্ষীরা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।

সাতক্ষীরা জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১০ প্রার্থী রয়েছেন। তার মধ্যে ফিরোজ আহমেদ স্বপনের নৌকা, সৈয়দ দীদার বখতের লাঙ্গল ও মুস্তফা লুৎফুল্লাহর কাস্তে-হাতুড়ি রয়েছে।

সাতক্ষীরা-১ আসনে পঞ্চমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সাথে জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ ৪ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জমজমাটভাবে। এ আসনটি তালা ও কলারোয়া উপজেলার ২৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ আসন থেকে জয়লাভ করেন। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার মুজিবকে পরাজিত করেন ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।

২০১৮ সালেও তিনি নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন। তবে এবার শেষ মুহুর্তে প্রত্যাহারের আদেশ না আসায় নৌকা প্রতীক পেয়েছেন কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন। বিপুল নেতা—কর্মী নিয়ে ফিরোজ আহমেদ স্বপন রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে প্রতীকও নিয়েছেন।

প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হচ্ছেন ফিরোজ আহমেদ স্বপন বলেন, আমার মনোনয়ন প্রাপ্তিতে তালা—কলারোয়ায় গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। আমার বিজয় নিশ্চিত। শেখ হাসিনার উন্নয়নে লোকজন নৌকায় ভোট দেবে।

বিজয়ের বিষয়ে ব্যাপক আশাবাদী ২০১৮ সালের আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেই। তালা—কলারোয়ার অলিগলি আমি চিনি। জনগণ আমাকে ভোট দেবে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা—১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সৈনিক লীগ সহ—সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব নিজেকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দাবি করে বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভোট করেছি। বিপুল ভোট পেয়েছিলাম। তাই ভোটের মাঠের হিসেবে আমি বিজয়ী হব।

সাতক্ষীরা—১ আসনে জাতীয় পার্টির অবস্থান বেশ শক্তিশালী ছিল। বর্তমানে সেই অবস্থা না থাকলেও ব্যাক্তি হিসেবে ভোটারদের মনে জায়গা রয়েছে এরশাদ সরকারের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দীদার বখতের।

এবিষয়ে তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, সৈয়দ দীদার বখত তালা ও কলারোয়ার উন্নয়নের রূপকার। তিনি সবার কল্যাণ করেছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি পাশ করবেন।

এদিকে, সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও বর্তমান সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। মোবাইল ফোনে মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, ২০১৪ দলের ৭টি আসনে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত ছিল। সাতক্ষীরা—১ আসন সেই ৭টি আসনের মধ্যে ছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়পত্র প্রত্যাহার না করায় আমি নির্বাচনে যাচ্ছিনা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App